শিক্ষক জীবনে সম্মানই আসল! অধ্যাপনায় ইস্তফা দিয়ে কাকে কাকে নিশানা বৈশাখীর
শেষ পর্যন্ত অধ্যাপনার চাকরি ছেড়েই দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। এদিন সন্ধেয় তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন, রাজ্যপাল, মুখ
শেষ পর্যন্ত অধ্যাপনার চাকরি ছেড়েই দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। এদিন সন্ধেয় তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা দফতরেও। তবে সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় সংক্রমণ বাড়ল! কলকাতায় মৃত্যু ১৭ জনের, জেনে নিন বাকি জেলার পরিস্থিতি
কলেজ নিয়ে সমস্যায় ছিলেন বৈশাখী
গত বেশ কয়েকবছর ধরে মিল্লি আল আমিন কলেজে সমস্যায় ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে বারবার হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সরকারকে জানানো সত্ত্বেও সমস্যা মেটেনি। এরই মধ্যে তাঁকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিনি গত জুন মাসে অধ্যক্ষের পদে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে বিজেপিতে সক্রিয় হওয়াক পর সমস্যা আরও বাড়ে।
বদলি করা হয়েছিল রামমোহন কলেজে
সম্প্রতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মিল্লি আল আমিন কলেজে গিয়ে বলেছিলেন বৈশাখীকে সমূলে উৎপাটিত কর। যা নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে গিয়ে নালিশ করেন। এরপরেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামমোহন কলেজে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় বৈশাখী বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁকে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বৈশাখী। তিনি আরও বলেছিলেন, সম্মানের সঙ্গে তিনি চাকরিটা করবেন কিনা চিন্তা করবেন।
শিক্ষক জীবনে সম্মানই আসল, বলেছেন বৈশাখী
এদিন নিজের ইস্তফা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে উৎখাত করার কথা বলেছিলেন। তারপরেই তাঁকে রামমোহন কলেজে বদলি করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তাঁকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের সামনে দাঁড়ানো যায় না। শিক্ষক জীবনে সম্মানটাই আসল। সেই কারণে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দিলেন বলেও জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৈশাখী
এখনও ২২ বছর চাকরি ছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অর্থাৎ ২২ বছর আগেই তিনি অবসর নিলেন। যেই কারণে তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী চাইলে চাকরি জীবনের বকেয়া টাকা নাও দিতে পারেন। বৈশাখী বলেছেন, তাঁকে দেওয়া বদলির চিঠিতে জনস্বার্থের জন্য বদলির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বৈশাখীর অভিযোগ কারণটি হল রাজনৈতিক।
এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে সামনে রেখেই বৈশাখীর ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ওই কলেজের সমস্যা নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকেও জানিয়েছিলেন। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, তিনি বিষয়টি দেখবেন।