বিজেপির অভিসন্ধি পূরণ হল না, ‘প্রাক্তন’ শোভন কথা রাখলেন ‘বর্তমান’ ফিরহাদের
বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিতকে হারিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফিরহাদ। এই ভোটাভুটিতে বর্তমানের পাশেই দাঁড়ালেন সদ্য প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিতকে হারিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফিরহাদ। এই ভোটাভুটিতে বর্তমানের পাশেই দাঁড়ালেন সদ্য প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফিরহাদের কথা রেখে তিনি পুরসভায় এলেন। এবং ভোট দিয়ে গেলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও তিনি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গেলেন।
বিজেপির আশায় জল
এদিন ফিরহাদের বিপরীতে মেয়র পদে লড়াইয়ে মাত্র পাঁচটি ভোট পান। বিজেপি আশা করেছিলেন এই মেয়র পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে সমর্থ হবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন সবাই। তৃণমূলের ১২১ কাউন্সিলরের ভোটই গিয়েছে ফিরহাদের ঝুলিতে। আর বিজেপির পাঁচ কাউন্সিলরের ভোট পেয়েছেন মীনাদেবী পুরোহিত।
ফিরহাদের আস্থা, শোভনের ভরসা
শোভনের ভোট কোন দিকে যায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল। কিন্তু ফিরহাদের ১২১টি ভোট প্রাপ্তির পর বিজেপি জোর ধাক্কা খেল। তৃণমূলকে তো ভাঙতে পারলই না, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভোটও পেলেন না। উল্লেখ্য, মীনাদেবী পুরোহিত প্রাক্তন মেয়রের কাছে আগেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিলেন।
এলেন, ভোটও দিলেন শোভন
কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিনই ফিরহাদ হাকিম প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন ফিরহাদ। আর্জি জানিয়েছিলেন ভোটাভুটিতে উপস্থিত থাকার। ফিরহাদের বার্তা পেয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে ফিরহাদ আশা করেছিলেন, শোভন ঠিক আসবেন। ফিরহাদের সেই আস্থার ভরসা রেখেছেন শোভন। তিনি এসে ভোট দিয়ে গিয়েছেন।
মেয়র পদে ফিরহাদ
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আকস্মিক মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তাঁকে মেয়র পদ থেকেই ইস্তফা দিতে বলেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো পরদিনই শোভন মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এবং নতুন মেয়র কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মমতা স্বয়ং ফিরহাদের নাম প্রস্তাব করেন। সেজন্য পুর আইন বদলও করা হয়।
আনুগত্য তৃণমূলে
এই পরিস্থিতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় কী করবেন, কাকে ভোট দেবেন, আদৌ পুরসভায় উপস্থিত হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মেয়র পদে ইস্তফা দিলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের বিধায়ক-সদস্যও। এই অবস্থায় শোভনকে ফোন করে উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শোভন সেই আস্থা এবং দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখলেন।