বিজেপিতে মোহভঙ্গ! শোভনকে কি তবে ফিরে যাবেন মমতার ‘কাননে’ই, জল্পনা চরমে
ঠেকে শিখছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বুঝছেন বিজেপি বড় শক্ত ঠাঁই। বহু কষ্টে, বহু স্বার্থত্যাগে মুকুল রায় মানিয়ে নিতে পারলেও, মানাতে পারছেন না শোভন।
ঠেকে শিখছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বুঝছেন বিজেপি বড় শক্ত ঠাঁই। বহু কষ্টে, বহু স্বার্থত্যাগে মুকুল রায় মানিয়ে নিতে পারলেও, মানাতে পারছেন না শোভন। তাই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দু-সপ্তাহ না যেতে যেতেই বিদায়ের সুর বেজে গিয়েছে। চূড়ান্ত অপমানিত হলে দলে থাকার থেকে বৈশাখীর হাত ধরে তিনি পথে দাঁড়াতেও প্রস্তুত। এমনই আভাস দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মায়ের মতো দিদিকে ছে়ড়ে এসেছেন, এখানেও...
বৈশাখীকে পদে পদে অপমান তো আছেই, কেনই বা মেনে নেবেন তিনি। এই বৈশাখীর জন্য মায়ের মতো দিদিকে ছে়ড়ে এসেছেন। যদিও বা গেলেন বিজেপিতে সেখানেও জুটছে অপমান। একইসঙ্গে যোগদানের দিন থেকে তাঁর সামনে এসে আপদ হয়ে জুটেছে দেবশ্রী। দেবশ্রীর ঝক্কি সরিয়ে শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে প্রবেশ হল বটে, তবে তা কণ্টকমুক্ত হল না।
বৈশাখীর অপমান মেনে নেওয়ার পাত্র নন শোভন
শোভন-বৈশাখীকে সংবর্ধনার দিন থেকেই তা বারবার মনে হয়েছে। কার্ডে নাম ছাপানো থেকে ডাল-ভাত রসিকতা- সবখানেই বৈশাখীকে ঠক্কর দেওয়া হয়েছে। বৈশাখীর অপমান মেনে নেওয়ার পাত্র শোভনবাবু নন। তাই তিনি বৈশাখীকে নিয়ে যাননি দলের বৈঠকে। এরপরই দলের তরফে শোভনকে নিয়ে নড়েচড়ে বসে।
বৈশাখী বেঁকে বসলে শোভনেরও বাঁকতে সময় লাগবে না
দেবশ্রীর যোগদান নিয়ে শোভনকে রাজি করানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু বৈশাখী নাছোড়বান্দা। তিনি চান না দেবশ্রী রায় আসুন বিজেপিতে। তাঁর সতীর্থ হন। তাই তিনি বেঁকে বসে আছেন। বৈশাখী বেঁকে বসলে যে শোভনেরও বাঁকতে সময় লাগবে না, তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারা। তাই অরবিন্দ মেনন থেকে শুরু করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দফায় দফায় শোভনের সঙ্গে বৈঠক চলে।
অসম্মানিত হয়ে থাকবেন না বিজেপিতে
শোভন নাকি সেই বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অসম্মানিত হয়ে তিনি কোনওভাবেই বিজেপিতে থাকতে চান না। প্রয়োজনে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন কিন্তু অসম্মানিত হয়ে থাকবেন না। যে কারণে তিনি তৃণমূল ছেড়েছেন, বিজেপিতে য়োগ দেওয়া থেকে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। প্রতি পদক্ষেপে তাঁকে অসম্মানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
তবু কুণ্ঠিত নন শোভন, প্রস্তুত সরে যেতে
পরিস্থিতি যা, যোগদানের স্বল্পদিনের মধ্যেই গাঁটছড়া খুলে ইস্তফাও দিয়ে দিতে পারেন শোভন। তৃণমূলে ফেরার পথ বন্ধ, বিজেপিতেও তিনি ব্রাত্য, তাই রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সংশয়ে পড়বেই শোভনের। তবু কুণ্ঠিত নন শোভন, তিনি আত্মমর্যাদা খুইয়ে দলে থাকবেন না। থাকলে মাথা উঁচু করে তিনি দলে থাকবেন। তা না হলে সরে যাবেন সবার অলক্ষ্যে।