বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা! এই কারণে আদালতে অনুপস্থিত মেয়র শোভন
বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় আদালতে অনুপস্থিত মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসক তাঁকে দুসপ্তাহের বেড রেস্টে থাকতে বলেছেন, আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন মেয়র।
বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় আদালতে অনুপস্থিত মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসক তাঁকে দুসপ্তাহের বেড রেস্টে থাকতে বলেছেন, আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন মেয়র। তবে আলিপুর জজ কোর্টের বিচারক ১১ মে শেষ সুযোগ দিয়েছেন।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন। কিন্তু রাজি নন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও দু-দুবার আপসে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবারও দুজনকে আদালতে হাজিরার জন্য বলেছিলেন বিচারক। কিন্তু হাজির হননি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এরআগেও একাধিকবার মেয়র নিজে ও আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি মামলা মিটিয়ে নিতে চান না। তিনি বিচ্ছেদ চান বলেই জানিয়েছিলেন।
এদিন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আইন তাঁর কাছে বড়। তাই আগের দিনের মতো এদিনও আদালতে হাজিরা দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহ দুয়েকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায় একে অপরের বিরুদ্ধে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া, কিংবা নজরদারি চালানোয় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।
এই সপ্তাহেই মেয়র পত্নী বাড়িতে বাউন্সার নিয়োগ নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
দিন কয়েক আগে পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দত্ত রোডের বাড়ির নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছিলেন মেয়র। বাড়িতে ঢোকার সময় যে কাউকে খাতায় নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন মেয়র। এবার পুরুষ নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে এক্কেবারে মহিলা বাউন্সার।
মেয়রের আরও অভিযোগ, পৈতৃক বাড়িতে তার বহু সম্পত্তি রয়েছে। এমন কী মামলার নথিও রয়েছে। সেসব নথি ও সম্পত্তি হাতানোর আশঙ্কাও করেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সব কিছুর পিছনেই তাঁর স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ মেয়রের।