পদে আছেন, ভোটে নন! শোভনে অনাস্থায় আসন্ন পঞ্চায়েতে উত্থান তৃণমূলের নয়া নেতার
শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন মেয়র ও মন্ত্রিত্বনিয়ে যাবতীয় জল্পনায় যখন লাগাম পরাতে সমর্থ হয়েছিলেন, তখনই নতুন বিতর্ক মেয়রকে নিয়ে। এখন প্রশ্ন দলে তাঁর গুরুত্ব নিয়ে।
কদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছিল, আদৌ শোভন চট্টোপাধ্যায় আর মেয়র থাকছেন কি না! তাঁর বৈশাখী-সখ্যে কি মন্ত্রিত্বও খোয়াতে চলেছেন কলকাতার মহানাগরিক! আপাতত সেই সব জল্পনায় যখন লাগাম পরাতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি, তখনই নতুন বিতর্ক মেয়রকে নিয়ে। এখন প্রশ্ন দলে তাঁর গুরুত্ব নিয়ে।
[আরও পড়ুন:বিজেপি বিরোধী প্রবল হাওয়া লেগেছে জোটের পালে, 'পিসি-ভাইপো'র নয়া চ্যালেঞ্জ মোদীকে]
শোভন চট্টোপাধ্যায় তো শুধু মেয়র বা মন্ত্রী ছিলেন না। তাঁর উপর ছিল গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্ব। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় জেলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলানোর থেকে বেশি ব্যস্ত নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে দলের স্টিয়ারিং কমিটি থেকে শোভনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে
কাজ
করার
কথা
ছিল
শোভন
চট্টোপাধ্যায়ের।
তাঁর
বদলে
পঞ্চায়েত
নির্বাচনের
প্রাক্কালে
প্রার্থী
বাছাইয়ের
দায়িত্ব
দেওয়া
হয়েছে
অঞ্জন
দাস
ও
শুভাশিস
চক্রবর্তীকে।
বৃহস্পতিবার
পঞ্চায়েত
ভোটের
প্রস্তুতি
বৈঠকে
এই
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়।
দলের
রাজ্য
সভাপতি
শোভনকে
কমিটি
থেকে
বাদ
দিয়ে
একপ্রকার
বার্তাই
দেওয়া
হয়
বলে
মনে
করছে
রাজনৈতিক
মহলের
একাংশ।
এর
আগে
দলের
কোর
কমিটির
বৈঠকেও
উপস্থিত
ছিলেন
না
দক্ষিণ
২৪
পরগনা
জেলা
সভাপতি
মেয়র
শোভন
চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:আরও একটা জয়ে বিজেপিকে টেক্কা তৃণমূলের! সুপ্রিম কাঁটায় বিদ্ধ গুরুং গ্রেফতারির মুখে]
সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তাঁর মেয়র ও মন্ত্রিত্ব পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ে সেই থেকেই। তারপর একের পর এক বিবৃতির জেরে আরও জল্পনা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে মেয়রের দায়িত্ব মনোনিবেশ করতে বলেছেন, স্বয়ং এই বার্তা দেওয়ার পর জল্পনায় ভাটা পড়ে। কিন্তু তারপরও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর নানা বিবৃতিতে দল আরও অসন্তুষ্ট। তারপরই তাঁকে পঞ্চায়েত ভোটের স্টিয়ারিং কমিটিতে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তাঁকে দলীয় ও সরকারি পদ থেকে এখনই সরানো হবে না। বরং পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে একপ্রকার বার্তা দেওয়া হল শোভনকে। এরপরও যদি শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজেকে না শোধরান, তখন দলে তাঁর গুরুত্ব আরও কমানোর ব্যাপারেই জোর দেবে দল। এছাড়াও দল মনে করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় শোভনকে মুখ করলে, মানুষের কাছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সেই কারণেই তাকে সরিয়ে নতুন মুখ এনে শোভনকে বার্তা দেওয়া হল।