মেয়র পদও ছাড়তে চলেছেন শোভন! মন্ত্রিত্বে ইস্তফার পর তৃণমূলে বিচ্ছেদ জল্পনা তুঙ্গে
অবশেষে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। তাঁর ইস্তফাপত্রও গৃহীত হয়েছে। ফলে তিনি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য নন।
অবশেষে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। তাঁর ইস্তফাপত্রও গৃহীত হয়েছে। ফলে তিনি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য নন। তারপরই জল্পনা শুরু হয়, তিনি কি মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন এবার। সূত্রের খবর, তিনি মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন। বুধবার তিনি ইস্তফা দিতে পারেন কলকাতার মেয়র পদ থেকে।
একইসঙ্গে জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি তৃণমূলেই থাকবেন, নাকি তৃণমূল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেবেন? তাঁর বিজেপিতে যাওয়া নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। লোকসভা ভোটের আগে মেয়র তথা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন। এবং তা গৃহীতও হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা নিয়েও নবান্নে তৎপরতা চলছে। বিশেষ সূত্রে খবর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা দফতর পেতে পারেন অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম।
বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এক এক করে তাঁর ডানা ছাঁটা চলছিল। তাঁকে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভাশিস রায়চৌধুরীকে।
[আরও পড়ুন: সময়ের সঙ্গে আধুনিক হচ্ছে পরিষেবা, দমকল-পুলিশে মমতার প্রশাসন নিল নয়া উদ্যোগ]
এদিন নবান্নে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ মিনিট বৈঠক করেন। তারপরই তিনি নবান্নে তাঁর নিজের ঘরে যান। তারপরই মুখবন্ধ খামে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব গৌতম স্যান্যালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান বলে জানা গিয়েছে। তবে তার পরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে আসার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, গুজব রটানোর হচ্ছে তাঁর নামে। তিনি পদত্যাগ করেননি।
[আরও পড়ুন:বিজেপি বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু করে দিলেন মমতা, বার্তা সারা দেশকে ]
অভিযোগ, এদিন নবান্নের সামনে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সকলের সামনেই তিনি মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ধমক দেন। এরপরই তিনি নবান্নে ফিরে গিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে সূত্রের খবর। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানাপোড়েনেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে এমন প্রভাব পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতার তাঁর বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলকে সেভাবে সময় দিয়ে পারছেন না শোভন। মহেশতলা উপনির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁর ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: মমতার ধমক, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে, বিচ্ছেদ-জল্পনা তুঙ্গে ]