'আঘাত প্রাপ্তির' পথে তৃণমূল! কিছুদিনের মধ্যেই দুই প্রভাবশালীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
তৃণমূলের দুই প্রভাবশালীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।
তৃণমূলের দুই প্রভাবশালীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। এই দুজন হলে কলকাতা ও বিধাননগরের দুই প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে দলবদল নিয়ে কথা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে সব্যসাচী দত্ত মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলেছেন। দুজনকে তৃণমূলে দৈনন্দিন কাজে ফেরানোর দলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তবে দুই নেতার কেউই এসম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি।
শোভন চট্টোপাধ্যায়
গত নভেম্বরের শেষের দিকে মন্ত্রীত্ব ও মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই থেকে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতি প্রায় দেখাই যায়নি। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর এবং বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিত যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জানা যাচ্ছে একটি সময় নিয়ে বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। বিজেপির তরফে প্রাক্তন সাংগঠনিক নেতা রামলালের সঙ্গেও তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। গতবছরে একটা সময়ে রায়চকে বান্ধবী ও তাদের পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়ে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন বান্ধবী বৈশালী। এই ঘটনাও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ করেছিল।
সব্যসাচী দত্ত
লোকসভা ভোটের আগে সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মার্চের প্রথমের দিকে বাড়িতে মুকুল রায় যাওয়ার পর থেকে। মুকুল রায় জানিয়েছিলেন তিনি গিয়েছিলেন লুচি আলুরদম খেতে। তবে ভোট কাটার পর জল্পনা আরও জোরদার হয়। বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান। অনাস্থা ভোটে যাওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন সব্যসাচী। তবে পদত্যাগ করেই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন সব্যসাচী দত্ত। প্রশ্ন তুলেছেন দলের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে।
ঘরে ফেরানোর চেষ্টা তৃণমূলের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুই নেতাকেই দলের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। যদিও তাতে রাজি হননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মার্চ মাসে মুকুল রায়ের লুচি আলুরদম খাওয়ার পর থেকে ক্রমাগত চেষ্টা করে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। যদিও এই চেষ্টাও সফল হয়নি বলে সূত্রের খবর।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, কলকাতা ও বিধাননগরের পুরসভা ভোটের আগে কোনও এক সময়ে দুজন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।