পারিবারিক গোলযোগের অংশ ছিলেন! দেবশ্রীকে দেখে তাঁর রিঅ্যাক্ট করার কারণ হিসেবে আর যা যা বললেন শোভন
দলীয় বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়কে দেখে তাঁর রিঅ্যাক্ট করার যে যথেষ্ট কারণ আছে, সর্বভারতী এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
দলীয় বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়কে দেখে তাঁর রিঅ্যাক্ট করার যে যথেষ্ট কারণ আছে, সর্বভারতী এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পারিবারিক গোলযোগের অংশ ছিলেন দেবশ্রী। এছাড়াও রায়দিঘিতে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ শোভন চট্টোপাধ্যায় করেছেন।
'কে ইনি, কেন ইনি, খুঁজতেই ১ ঘন্টা'
বুধবার বিকেলে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি বিজেপির সদর দফতরে অরবিন্দ মেননের ঘরে ঢোকার পরপরই পাশের ঘরে গিয়ে বসেন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তাঁকে উদ্ভ্রান্তের মতো লাগছিল বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। সেই সময়ই কে ইনি, কেন ইনি খোঁজ শুরু হয়ে যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় বেঁকে বসেন দেবশ্রী রায়কে নিয়ে। বলেন যদি দেবশ্রী বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তিনি যোগ দেবেন না। শেষ পর্যন্ত শোভন ও বৈশাখীই বিজেপিতে যোগ দেন।
নাম উঠেছে জয়প্রকাশ ও মুকুলের
শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই জানান, দেবশ্রী রায়ে বিজেপি সদর দফতরে যাওয়ায় সাহায্য করা নিয়ে নাম উঠেছিল জয়প্রকাশ মজুমদার এবং মুকুল রায়ের। যদিও তাঁরা দুজনেই বিষয়টি অস্বীকার করায় খুশি তাঁরা দুজনেই। মুকুল রায় সেদিনই জানান, গত ৫ বছর দেবশ্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। আর জয়প্রকাশ মজুমদারও প্রায় একই কথা জানান।
দেবশ্রীকে নিয়ে কারণ ব্যাখ্যা
নির্দিষ্ট সময়ে বিজেপি সদর দফতরে গিয়েও, দলে যোগ দিতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর পারিবারিক গোলযোগের অংশ ছিলেন দেবশ্রী রায়। এছাড়াও রায়দিঘিতেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। রায়দিঘি নিয়ে তৃণমূলের যে আলাদা স্ট্যান্ড ছিল তা দিদিও জানত বলে মন্তব্য করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
'বিজেপে দফতরে পাঠানো চক্রান্ত'
তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে বিজেপি সদর দফতরে পাঠানোকে চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন শোভন বৈশাখী দুজনেই। বিজেপি অফিসে ঢোকার সময় তাঁদের সঙ্গে দুটি গাড়ি ছিল। তাঁরা জানতে পেরেছেন পিছনে তৃতীয় গাড়িতে ছিলেন দেবশ্রী রায়। তিনি নাকি জানিয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই এসেছেন। ফলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়। যদিও বিষয়টি রহস্যই থেকে গিয়েছে। দেবশ্রী রায়কে বিজেপি দফতরে পাঠানো ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও বর্ণনা করেছেন তাঁরা।