১৮ জুনের পর আচমকাই ফোনে বেড়েছে ব্যস্ততা! গুরুত্ব বাড়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে শোভনকে ঘিরে
দলের সঙ্গে সরকারি যোগযোগ কার্যত নেই। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৮ জুনের পর বেড়ে গিয়েছেন তাঁর সেলফোনের ব্যস্ততা।
দলের সঙ্গে সরকারি যোগাযোগ কার্যত নেই বললেই চলে। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৮ জুনের পর বেড়ে গিয়েছেন তাঁর সেলফোনের ব্যস্ততা। তিনি হলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বও বাড়তে শুরু করেছে তাঁর। আর যাঁরা ফোন করছেন তাঁদের প্রায় সিংহভাগই তৃণমূলের বিধায়ক, মেয়র পারিষদ কিংবা কাউন্সিলর বলেই জানা গিয়েছে।
১৮ জুন প্রকাশ্যে কাটামানি নিয়ে নির্দেশ মমতার
১৮ জুন মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে সারা রাজ্য থেকে আসা কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ২০০০ টাকার সমব্যাথী প্রকল্প থেকে ২০০ টাকা কাটমানি খাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সরকারি আবাসন প্রকল্প থেকে নেতাদের ২৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার কথাও উল্লেথ করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। যাঁরা এইসব কাজে যুক্ত নন, দলের মধ্যেরই বিরোধী পক্ষ সেই নেতার নাম করে কাটমানি খাওয়ার কথা প্রচার করে দিচ্ছেন। ফলে চাপ বাড়ছে সেই নেতার ওপর।
কাটমানি নিয়ে একাধিক জেলায় গণ্ডগোল
মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবার, আর বুধবার থেকেই তা নিয়ে জেলায় জেলায় গণ্ডগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল সমর্থকরা( দলের একাংশের মতে বিরোধী গোষ্ঠী), কোথাও আবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ফুলিয়ায় বিডিও অফিসের সামনে টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে।
দলের কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদদের ফোন শোভনকে
বিজেপির উত্থানের মধ্যেও জায়গায় জায়গায় তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকট বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেকে শুধুমাত্র দলটাই করেন অনেক অপমান সহ্য করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি নিয়ে হুঁশিয়ারি। অস্বস্তিতে অনেক নেতাকর্মীরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভবিষ্যতে বিকল্পের পথ খোলা রাখতে কলকাতারই অনেক কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদরা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর এবং বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরিও হয়। যদিও তার কিছুই ফলপ্রসু হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে যে তা আর হবে না, রাজনৈতিক ভাবে কখনই তা বলা যায় না। যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, তার প্রভাব কলকাতা পুর এলাকায় ভবিষ্যতে পড়বে না, এমনটা কেউই হলফ করে বলতে পারেন না। ফলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
লোকসভা ভোটের পর পরিস্থিতি
লোকসভা ভোটে কলকাতার দুটি আসনের মধ্যে একটিও পায়নি বিজেপি। তবে নির্বাচনে পাওয়া ভোটের নিরিখে ১৪৫ টি আসনের মধ্যে ৫০ টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।