সামনে মাঘেই স্থির হয়েছিল বিয়ের, খোঁজ না পেয়ে মর্গে ছেলের দেখা পেলেন মা
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ১৫ মিনিট আগেও মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সৌমেনের। তারপরই মা শোনেন মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে কু ডেকে উঠেছিল মনটা।
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ১৫ মিনিট আগেও মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সৌমেনের। তারপরই মা শোনেন মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে কু ডেকে উঠেছিল মনটা। ফোন করেছিলেন সৌমেনকে। কিন্তু ফোন বেজে গিয়েছে, ধরেনি সৌমেন। তখনই ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে জনে জনে খুঁজেছেন। শেষমেশ মর্গে গিয়ে ছেলের খোঁজ পেলেন মা।
মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয় শূন্য করে দিল মায়ের কোল। এখন পর্যন্ত যে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, তিনিই হলেন মায়ের কোল খালি করে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়া সৌমেন। এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে গিয়ে যাঁকে খুঁজে পেয়ে বাকরুদ্ধ মা। সামনের মাঘেই বিয়ের কথা হয়েছিল তাঁর। তার আগেই সব শেষ।
[আরও পড়ুন:ট্যাক্সি নিয়ে মাঝ ব্রিজ থেকে পড়েও গায়ে আঁচড় লাগেনি, অলৌকিক রক্ষা চালক-সহ যাত্রীদের]
[আরও পড়ুন:মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার, উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন]
[আরও পড়ুন: কলকাতাকেও হার মানায় যেসব ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ব্রিজ-বিপর্যয়ের ইতিহাস একনজরে]
[আরও পড়ুন: 'ব্রিজের রঙ নীল-সাদা করে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না', মাঝেরহাট-কাণ্ডে তোপ দাগলে সুজন ]
বেহালার শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগ। বয়স ২৮। বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বলে ১৫ মিনিট আগে ফোন করে জানিয়েছিলেন মাকে। তারপরই ব্রিজ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে মা ফোন করেন। আর যোগাযোগ করা যায়নি সৌমেনের সঙ্গে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। তারপর সিএমআরআই আর এসএসকেএম। প্রত্যেক আহতের কাছে গিয়ে খুঁজেছেন ছেলেকে। শেষমেশ মর্গে গিয়েই খোঁজ মিলল সৌমেনের।
মনের মধ্যে তবু একটু আশা ছিল মায়ের। সেই শেষ আশার প্রদীপটুকুও নিভে গেল নিমেষে। মৃত ছেলের মুখ দেখে স্থির রাখতে পারেননি নিজেকে। শোকে পাথর হয়ে যান মা। হাসপাতালেই কথা হারান। ছেলেকে হারিয়ে কখনও ডুকরে কেঁদে ওঠেন, পরক্ষণেই সংজ্ঞা হারান। মুহূর্তেই বাড়ির ছেলেকে হারিয়ে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন:কলকাতার ব্রিজ দুর্ঘটনা ঘিরে সরকারকে তোপ রাজ্যপালের, মন্তব্যে উঠে এল ক্ষোভ ]
[আরও পড়ুন: মমতার সাত বছরে বাংলায় উড়ালপুল বিপর্যয়ের সাতকাহন, নবতম সংযোজন মাঝেরহাট ]
[আরও পড়ুন: ব্রিজ ভাঙার দায় মমতার সরকারের! সরাসরি অভিযোগ মোদীর দলের]