পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা খুনে ষড়যন্ত্র স্ত্রীর! কেন এমন দাবি পুলিশের
দশ দিনের মধ্যেই সোনারপুরে আইএনটিটিইউসি নেতা খুনের কিনারা করল পুলিশ। তাদের দাবি, খুনের পিছনে রয়েছে নেতার স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। দুজনকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
দশ দিনের মধ্যেই সোনারপুরে আইএনটিটিইউসি নেতা খুনের কিনারা করল পুলিশ। তাদের দাবি, খুনের পিছনে রয়েছে নেতার স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। দুজনকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
৯ এপ্রিল ঝড়-বৃষ্টির রাতে সোনারপুরে গুলিতে খুন হন ট্যাক্সি ইউনিয়নের সম্পাদক সমীর মিস্ত্রি। রাতে বাড়িতে খাবার খাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে তাকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সমীর মিস্ত্রিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চন্দন মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তদন্তে গিয়ে পুলিশের প্রথমেই সন্দেহ হয়, রাত হলেও বাড়ির দরজা কেন খোলা ছিল। সমীর মিস্ত্রির স্ত্রী মধুমিতা মিস্ত্রি জানিয়েছিলেন, গরম থাকায় দরজা খুলে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে মধুমিতা মিস্ত্রির দাবি ধোপে টেকেনি।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে, পথের কাটা সরাতেই এই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মাস চারেক আগে চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে মধুমিতা মিস্ত্রি বারুইপুরে গিয়েছিলেন ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য। দুজনের মধ্যে ফোনের কল লিস্টও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
চন্দন মণ্ডল মধুমিতাকে বারবার চাপ দিচ্ছিলেন বিয়ের জন্য। তাড়াতাড়ি না করলে তিনি নিজেই খুন করবে বলে জানিয়েছিল চন্দন।
৯ এপ্রিল রাতে সমীর মিস্ত্র্রির খুনের পর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাড়ায় কিংবা সংগঠনে কারও সঙ্গে কোনও রকমের রেষারেষি ছিল না। পুলিশ সূত্রে তখন অনুমান ছিল , এটা কোনও রাজনৈতিক খুন নয়, পুরনো রেষারেষি থেকেই খুন।
সমীর মিস্ত্রি ও মধুমিতা মিস্ত্রির দুই মেয়ে। এক মেয়ে এবছরে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে। অপর মেয়ে পড়ে দশম শ্রেণিতে।