বিজেপির হয়েই সাফাই গাইলেন ইউপিএ ১-এর লোকসভা স্পিকার, কী বার্তা সোমনাথের
‘কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালার উচিত সরকার গড়তে বিজেপিকে ডাকা। কারণ বিজেপি একক বৃহত্তম দল। তাই তাদের আগে সরকার গড়ার জন্য ডাকাই সংবিধানের নিয়ম।’
বিজেপির হয়েই সাফাই গাইলেন ইউপিএ ১-এ সরকারের লোকসভা স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ত্রিশঙ্কু কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালার উচিত সরকার গড়তে বিজেপিকে ডাকা। কারণ বিজেপি একক বৃহত্তম দল। তাই তাদের আগে সরকার গড়ার জন্য ডাকাই সংবিধানের নিয়ম।
সম্প্রতি একটি নিউজ চ্যানেলে বর্ষীয়ান বাম নেতা প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ বলেন, বিজেপি যদি দাবি করে তাদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তবে তাঁদেরই আগে ডাকা উচিত। রাজ্যপালের উচিত বিজেপিকে সরকার গঠনের কথা বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা করার। তারা ব্যর্থ হলেই দ্বিতীয় বৃহত্তম দলকে ডাকা উচিত।
[আরও পড়ুন:নিরাপত্তার দাবিতে 'ভোটকর্মীদের' বিক্ষোভ! বাম 'ভূত' দেখছে নবান্ন]
যেহেতু দ্বিতীয় দল কংগ্রেস ও ও তৃতীয় দল জেডিএস দাবি করছে, তাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে, তাদের ডাকা যেতেই পারে। কিন্তু প্রথম সুযোগ বিজেপিরই পাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে পড়েছে, তাই যদি হবে গোয়া, মণিপুর, মেঘালয়ের ক্ষেত্রে তাহলে ভিন্ন রীতি হল কেন? তখন কেন বৃহত্তম দলকে ডাকা হল না সরকার গড়ার জন্য?
গোয়া, মণিপুর, মেঘালয় তিন ক্ষেত্রেই কংগ্রেস ছিল বৃহত্তম দল। তখন কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপিকে সুযোগ দেওয়া হয় আগে। কারণ তারা জানিয়েছিল, অন্য দলের সঙ্গে নির্বাচনোত্তর জোট হয়েছে। তাহলে কর্ণাটকের বেলায় কেন কংগ্রেস-জেডিএসকে মানা হবে না? শুধু তাই নয়, মাত্র দুটি আসন নিয়ে বিজেপি মেঘালয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছিল, তখন কিন্তু সংবিধানের কথা বলা হয়নি। এমনই মত কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলির অধিকাংশের।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ফলাফলে বিজেপি পেয়েছে ১০৪টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি এবং জেডিএস পেয়েছে ৩৮টি আসন। কংগ্রেস ভোটের চূড়ান্ত রেজাল্ট ঘোষণার আগেই জেডিএসকে প্রস্তাব দিয়ে রাখে। জেডিএসকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানায় কংগ্রেস। জিডেএস তাতে রাজিও হয়। তারপরই বিতর্কের সূত্রপাত কর্ণাটকের সরকার গঠন নিয়ে। কর্ণাটকের রাজ্যপাল কাকে সরকার গঠনের অগ্রাধিকার দেবে, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। রাজ্যপাল সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
[আরও পড়ুন:'বিমর্ষ মোদী ভুল তথ্য দিচ্ছেন'! প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চায়েত আক্রমণকে খোঁচা তৃণমূলের ]