গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হয়েছে মমতার রাজ্যে! সম্মিলিত আন্দোলনের ডাক সোমনাথের
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগের দিন ‘সেভ দ্য ডেমোক্রেসি’র মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করা হয়েছে রাজ্যে।
রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়েও রাজ্যে গণতন্ত্রের দাবিতে সরব প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগের দিন 'সেভ দ্য ডেমোক্রেসি'র মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করা হয়েছে রাজ্যে। পরিকল্পনা করেই নির্বাচনকে প্রহসেন রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সোমনাথবাবু বলেন, বর্তমানে রাজ্যে এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নির্বাচন হল যে, মোদীকেও প্রশ্ন করতে হচ্ছে কেন এমন হল। রাজ্যে শাসন নেই, সুশাসনও নেই। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে সবাইকে একজোট হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজ্যের এই অগণতান্ত্রিক পরিবেশের বিরুদ্দে সরব হতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই এদিন আমাদের মিলিত হওয়া।
এদিন 'সেভ দ্য ডেমোক্রেসি'র মঞ্চ থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কৌশিক সেন, মন্দাক্রান্তা সেন, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তরাও। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও গণতন্ত্রের প্রশ্নে মুখ খুলেছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার। তিনি বলেছিলে, রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। নির্বাচন আদতে রক্তের উৎসব রূপান্তরিত হয়েছে। খুন করা হয়েছে গণতন্ত্রকে। এই অবস্থা থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াইয়ে নামতে হবে।
এদিন ফের তিনি একই দাবিতে সরব হলেন। এদিনের মঞ্চ থেকে সেভ দ্য ডেমোক্রেসির সদস্যরা দাবি তুললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য বদলা নয় বদল চাই স্লোগান উঠেছিল। সেই স্লোগানের সমর্থনে আমরাও আওয়াজ তুলেছিলাম। কিন্তু আজ রাজ্যের পরিস্থিতি সেই স্লোগানের অন্তরায় হয়ে উঠেছে। তাই সম্মিলিত প্রতিবাদ জরুরি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গলের দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে পুলিশের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। রাজ্য সরকার চাইছে বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত করতে, আর পুলিশ শাসকের সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। রাজ্যের গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী যে সংস্থা, সেই নির্বাচন কমিশন অসহায় হয়ে বসে আছে। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন। আজ নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার প্রাক্কালে ফের তিনি গর্জে উঠলেন। রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমানোচনায় ব্রতী হলেন। গণতন্ত্র সুরক্ষার দাবি তুললেন তিনি।