চ্যালেঞ্জ দিলেন সোমেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জোট হচ্ছে কি না লিখে দিলেন
রাত পোহালেই ব্রিগেড। তার আগে চ্যালেঞ্জ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, লিখে রাখুন, তৃণমূলের জোট হবে না লোকসভা নির্বাচনে।
রাত পোহালেই ব্রিগেড। তার আগে চ্যালেঞ্জ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, লিখে রাখুন, তৃণমূলের জোট হবে না লোকসভা নির্বাচনে। সাংবাদিকদের সামনে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললেন, আমার নামে লিখে রাখুন। হাইকম্যান্ড যা করছে, সেটা জাতীয় প্রেক্ষিত। প্রদেশের পরিস্থিতি জোটের পরিপন্থী। তাই আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জারি থাকবে লড়াই।
প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তি তুড়ি মেরে হাইকম্যান্ড তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাহুল গান্ধী নিজে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়েছেন। তারপরই সোমেন মিত্র সরাসরি খারিজ করে দিলেন রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা। সেইসঙ্গে বললেন কংগ্রেসের ব্রিগেডের ভাবনা রয়েছে।
১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে আক্ষরিক অর্থেই ঐক্যবদ্ধ ভারতের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে। মোদী বিরোধী সমস্ত দল এক জায়গায় হচ্ছে। সেখানে জাতীয় রাজনীতির কথা চিন্তা করে রাহুল গান্ধী দূত না পাঠিয়ে পারেননি। তারপর নিজে আসতে না পারলেও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাককে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
[আরও পড়ুন:বঙ্গ সংস্কৃতির নমুনা রাখলেন মমতা, ব্রিগেড-সৌজন্যে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা]
সোমেন মিত্র এদিন বলেন, রাহুলজি জাতীয় প্রেক্ষিতে দূত পাঠিয়েছেন। বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু প্রাক নির্বাচনী জোটের কোনও পরিবেশ এখানে নেই। তার সম্ভাবনা দুরুহ। আর আমরা তো কোনও আমন্ত্রণই পাইনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জাতীয় রাজনীতি রাজনীতির স্বার্থে দূত পাঠিয়েছে। যারাই বিজেপির বিরোধিতা করবে, তাঁদের কর্মসূচিতে কংগ্রেসের নৈতিক সমর্থন রয়েছে, সেটাই দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে।
[আরও পড়ুন:কলকাতার বুকে জাতীয় রাজনীতির মেগা শো! কেমন হল প্রস্তুতি, খুঁটিনাটি একনজরে ]