মমতার ‘কথা’ রাহুলকে জানাবেন সোমেন! লোকসভার লড়াইয়ে বঙ্গে কোন পথে কংগ্রেস
বদলেও বদলালো না কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিলেও, প্রদেশ কংগ্রেস এখনও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে অরাজি।
বদলেও বদলালো না কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিলেও, প্রদেশ কংগ্রেস এখনও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে অরাজি। তারা চায়, জোট হলে হোক সিপিএমের সঙ্গে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট? নৈব নৈব চ। এই দাবি নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবার দিল্লির রওনা হচ্ছেন।
বাংলার জোট সমীকরণের খোঁজে
গো-বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে দিল্লির রাজনীতিতে। কংগ্রেসকে ঘিরেই আবর্ত হতে শুরু করেছে জোট রাজনীতি। বহু রাজ্যেই কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটের পথে এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে অর্থে বাংলার জোট সমীকরণ এগোয়নি।
কে হবে কংগ্রেসের জোট সঙ্গী
এখন প্রশ্ন এ রাজ্যে, কংগ্রেস কার সঙ্গে যাবে? কাকে বাছবে জোট সঙ্গী হিসেবে? তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সিপিএম? পুরো বিষয়টিই নির্ভর করে রয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড, বিশেষ করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উপর। দিল্লির রাজনীতিতে রাহুলের বেশি দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
অধীরের পথে সোমেন?
কিন্তু রাজ্য-রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে ভীতি রয়েছে কংগ্রেসের। তৃণমূলই কংগ্রেসকে শেষ করে দিয়েছে, ফের তৃণমূলের সঙ্গে গেলে বাকিটাও শেষ হয়ে যাবে, এমনটাই অভিমত প্রদেশ নেতৃত্বের। এতদিন অধীর চৌধুরী যা বলে এসেছেন, এখন একই কথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সোমেন মিত্রের কণ্ঠেও।
কর্মী-সমর্থকদের মতকেই প্রাধান্য
সোমেন মিত্রের হাতে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দেওয়াকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিল এটা তৃণমূলের সঙ্গে জোট-সূচক পদক্ষেপ। কিন্তু সোমেন মিত্র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনিও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতাই করবেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব যা চাইছে, কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা যা চাইছেন, তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সিপিএমই জোটের বাজি?
গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস সাফল্য পেয়েছিল। বামেদের ছাড়িয়ে কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রূপান্তিরত হয়েছিল। যদিও তার পর থেকে একের পর এক ভাঙনে কংগ্রেস তা ধরে রাখতে পারেনি। তা সত্ত্বেও এখন সিপিএমের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গড়েই প্রদেশ নেতৃত্ব লোকসভায় লড়তে রাজি।
ব্রিগেডের বার্তা হাইকমান্ডকে
এবার রাজ্যে তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেস নেতারা হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাঁদের আবেদনে, তৃণমূলের ব্রিগেড জনসভায় যেন দিল্লির কোনও শীর্ষ কংগ্রেস নেতা হাজির না থাকেন। উল্লেখ্য, ওই ব্রিগেড সমাবেশকে বিরোধী জোটের ক্ষমতা প্রদর্শনের মঞ্চ করে তুলতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল সকাশে গগৈ-সোমেন
এদিকে, ২০১৯-এর লক্ষ্যে বাংলায় ভোট লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করতে ২০ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী ও রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেখানে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের মতামত তুলে ধরবেন। কার্যত এই বৈঠকেই স্থির হয়ে যাহে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব কোন পথে হাঁটবে।