আবার কংগ্রেস ছাড়ছেন সোমেন? দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা-ফোনে জল্পনা তুঙ্গে
আবার কি কংগ্রেস ছাড়ছেন সোমেন মিত্র? এবার তাঁর গন্তব্য হতে পারে বিজেপি! অন্তত এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কলকাতা, ২১ এপ্রিল : আবার কি কংগ্রেস ছাড়ছেন সোমেন মিত্র? এবার তাঁর গন্তব্য হতে পারে বিজেপি! অন্তত এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এই জল্পনার সূত্রপাত সোমেন মিত্রের একটি ফোনকে কেন্দ্র করে।
দিলীপ ঘোষের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। হঠাৎ কেন দিলীপ ঘোষকে ফোন? তবে কি তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন। এটাই এখন হাওয়ায় ভাসছে। এমনকী একা তিনি নন, স্ত্রী শিখা মিত্রও যোগ দিতে পারেন বিজেপি-তে।
ইতিমধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া এক নেতার সঙ্গে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই সোমেন মিত্রের শুভেচ্ছা-ফোনের ঘটা দিলীপ ঘোষকে। সম্প্রতি রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। কলকাতায় তাঁর সভাতেই সোমেন মিত্র যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চেখ করেই এটা বিজেপি-র একটা মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে।
পছন্দের
কোনও
একটি
সিট
থেকে
সোমেন
মিত্র
বিজেপি-র
টিকিটে
লড়তে
পারেন
বলেও
জানা
গিয়েছে।
রাজনৈতিক
মহল
মনে
করছে,
কংগ্রেসে
এই
মুহূর্তে
কোনও
ভবিষ্যৎ
নেই।
কিছুদিন
আগেই
তৃণমূল
ত্যাগ
করে
তিনি
চলে
এসেছেন।
ফের
ভিড়েছেন
কংগ্রেসে।
এখন
বিজেপি-র
দিকে
পা
বাড়িয়ে
দেওয়াই
বুদ্ধিমানের
কাজ
হবে
বলে
মনে
করছেন
তিনি
নিজেও।
বিজেপি
এখন
২০১৯-কে
টার্গেট
করে
এগোচ্ছে।
শুধু
সোমেন
মিত্রই
নন,
কংগ্রেস
ও
তৃণমূলে
ব্রাত্য
অনেক
নেতার
দিকেই
বিজেপির
লক্ষ্য
রয়েছে।
সোমেন
মিত্রের
সঙ্গে
এই
নিয়ে
বিশেষ
বৈঠক
ইতিমধ্যে
হয়েও
গিয়েছে
বলে
বিজেপি-র
একটি
সূত্র
থেকে
জানা
গিয়েছে।
এমনকী
দিলীপবাবুকে
ফোন
করার
পর
তিনি
রাজ্যের
পর্যবেক্ষক
কৈলাস
বিজয়বর্গীয়-র
সঙ্গে
কথাও
বলেছেন।
সোমেনবাবু এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ, সুচতুরভাবে এগিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তিনি বলেছেন, শুধু সোমেনবাবু কেন, মানুষের জন্য উন্নয়নের স্বার্থে যাঁরা তাঁদের দলে আসতে চান, সবাইকে স্বাগত।
বর্তমান কংগ্রেসে তিনি ব্রাত্য। বর্তমান নেতাদের সঙ্গে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। তাঁর মতো প্রবীণ রাজনীতিবিদকে যেভাবে একঘরে করে রাখা হয়েছে, তাতা তিনি বীতশ্রদ্ধ। তাই দল ছাড়ার জন্য তিনি এক পা এগিয়ে রেখেছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।