২০ বছর পর প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদে ফের মমতার ছোড়দা, অধীরকে নিয়েই চলার ডাক
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হলেন সোমেন মিত্র। ২০ বছর পর আবার তিনি ফিরলেন প্রদেশে কংগ্রেসের শীর্ষ আসনে। মাঝে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হলেন সোমেন মিত্র। ২০ বছর পর আবার তিনি ফিরলেন প্রদেশে কংগ্রেসের শীর্ষ আসনে। মাঝে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন। তারপর তৃণমূলের সংসর্গ ত্যাগ করার পর আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। লোকসভা ভোটের আগে সেই সোমেন মিত্রের উপরই ভরসা রাখলেন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
১৯৯৮ সালের মার্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন সোমেন মিত্র। তার আগেই কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাঙনেই কংগ্রেসের পতনের শুরু হয়েছিল রাজ্যে। তারপর ক্রমশই কংগ্রেস খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে। দলকে সম্মিলিত রাখতে ব্যর্থ হয়ে নিজে থেকেই দায়িত্ব ছেড়েছিলেন।
তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তনের সময়ে রাজ্য বদল নয় বদল চাই স্লোগান দিয়ে সোমেন মিত্র হাত মিলিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর ফের মনোমালিন্য মমতার সঙ্গে, সরে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। ফিরেছিলেন কংগ্রেসে। আর এবার ২০ বছরের বানপ্রস্থ কাটিয়ে তিনি আবার প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে ফিরলেন।
Mr Somendra Nath Mitra is new President West Bengal Congress Committee... Mr Adhir Ranjan Chowdhury new campaign committee head pic.twitter.com/Rz3BSFaJ5O
— Supriya Bhardwaj (@Supriya23bh) September 21, 2018
[আরও পড়ুন: অপসারিত অধীর, লোকসভার আগে প্রদেশ কংগ্রেসে বড়সড় রদলবদল ঘটিয়ে দিলেন রাহুল]
লোকসভা ভোটের আগে সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় হাইকম্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সোমেন মিত্র। তিনি বলেছেন, তাঁকে যে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি তা পালনের সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। চেষ্টা করবেন কংগ্রেসকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে। যাঁরা চলে গিয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে, তাঁদের ফের ফেরানোর চেষ্টাও করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: 'দয়া'র ঝটকা বাংলাকেও, ওড়িশা উপকূলমুখী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘায় জলোচ্ছ্বাস, জারি সতর্কতা]
তবে অধীর চৌধুরীর দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও প্রদেশের সমীকরণ নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি। তিনি আশা করেন, প্রদেশ কংগ্রেসকে ফের পুরনো ছন্দে ফেরাতে সকলের সাহায্য পাবেন। অধীর চৌধুরীর মতো তরুণ-তুর্কি নেতারও সাহায্য তিনি পাবেন বলেন মনে করেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, রাজনীতিতে কোনও স্থায়ী শত্রু নেই, স্থায়ী মিত্র নেই। যে কংগ্রেসের বিরোধিতা করবে, সেই শক্র। তিনি এদিন রাজ্যে সরকারেরও সমালোচনা করেন।
[আরও পড়ুন:বিজেপি বলছে জালিয়ানওয়ালাবাগ-কাণ্ড, বিজেপি-আরএসএসের দায় বলছেন পার্থ, তরজা জমজমাট]