সোমেন-লকেট সাক্ষাতে জল্পনার পারদ চড়ছেই, চা চক্রে তৃণমূলের জাতীয়তাবাদী নেতারাও
সোমেন মিত্র কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে। আপাতত কুণাল ঘোষের বাড়িতে চা চক্রের আসরে সোমেন-লকেট সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে অন্য জল্পনার অবতারণা করল।
কলকাতা, ১ মে : সোমেন মিত্র কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে। আপাতত কুণাল ঘোষের বাড়িতে চা চক্রের আসরে সোমেন-লকেট সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে অন্য জল্পনার অবতারণা করল। রাজ্যে ক্রমশই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হতে শুরু করল কংগ্রেস, বিজেপি ও শাসক দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। বিজেপিতে যোগ দিয়ে হোক, বা আলাদা রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে চাইছে অনেকেই।
নববর্ষ উপলক্ষে চা চক্রের আসর বসেছিল তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষের বাড়িতে। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের দুই নেতা সোমেন মিত্র, অরুণাভ ঘোষ। ছিলেন বিজেপি-র লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু। এই বৈঠক যে শুধুই নববর্ষের আলাপচারিতা, তা কিন্তু নয়। এদিন রাজনৈতিক আলোচনাও হয় বৈঠকে। এমনকী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের সঙ্গেও কথা হয় ফোনে।
এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী মঞ্চের প্রতিনিধারাও। তাঁরা জানান, কুণালের আমন্ত্রণেই তাঁরা চা চক্রে যোগ দিতে এসেছিলেন। এর মধ্যেই যে নতুন করে রাজনৈতিক সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট।
সম্প্রতি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষকে তিনি ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পর থেকেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। এদিন ফের চা চক্রে সোমেন-লকেটের সাক্ষাতের পর রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে।
তবে এই ধরনের উদ্যোগ কতখানি সফল হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কারণ সোমেন মিত্র কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যান। তারপর কংগ্রেসে ফিরে ফের তৃণমূলের কাছে স্বল্প ব্যবধানে হার। তারপর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ে। তারপর কুণাল ঘোষের সারদা যোগ নিয়ে প্রশ্ন। এই আঙ্গিকে কতখানি সফল হবে নয়া এই মঞ্চ, তা প্রশ্ন রয়েই যায়।