ভেলোরের স্নেহাকে অনুসরণ! নিজেদের বর্ণহীন, জাতহীন ঘোষণার পথে রাজ্যের বেশ কয়েকজন
ভেলোরের স্নেহা পার্থিবরাজকেই অনুসরণ করতে চান কলকাতার শ্যামল চ্যাটার্জি-সহ আরও বেশ কয়েকজন। দীর্ঘ নয় বছর লড়াই চালিয়ে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নিজেকে বর্ণহীন, জাতহীন হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন স্নেহা।
ভেলোরের স্নেহা পার্থিবরাজকেই অনুসরণ করতে চান কলকাতার শ্যামল চ্যাটার্জি-সহ আরও বেশ কয়েকজন। দীর্ঘ নয় বছর লড়াই চালিয়ে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নিজেকে বর্ণহীন, জাতহীন হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন স্নেহা। এবার সেই পথেই কলকাতা।
বছর ৩৫-এর স্নেহা পেশায় আইনজীবী। তবুও নিজেকে বর্ণহীন, জাতহীন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে লড়াই করতে হয়েছিল নয় বছর। তবে তাঁর বাবা-মার ছোট থেকেই এবিষয়ে উৎসাহ ছিল। তাঁরা চেয়েছিলেন মেয়ে শুধুমাত্র ভারতীয় হিসেবেই পরিচিত হোক। তবে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারি স্নেহা স্বীকৃতি পেয়েছে, সার্টিফিকেট পেয়েছে বর্ণহীন, জাতহীন হিসেবে।
স্নেহার এই পথে উৎসাহিত হয়েছে এরাজ্যেও বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই শ্যামবাজারের বাসিন্দা শ্যামল চ্যাটার্জি নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি সঙ্গে পেয়েছেন আরও বেশ কয়েকজনকে। সবাই মিলে ঠিক করেছেন ৩১ মার্চ রাণু চায়া মঞ্চে তাঁরা নিজেদেরকে আইনগতভাবে একজন ধর্মহীন, জাতহীন মানুষ বলে ঘোষণা করবেন। তাঁদের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা রয়েছে যাদবপুর কেন্দ্রের বামপ্রার্থী বিকাশ ভট্টচার্যেরও।
শ্যামল চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়সের আগে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্কের ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সরকারকে সব জায়গায় কাস্ট, রিলিজিয়নের সঙ্গে নো কাস্ট, নো রিলিজিয়ন কথাও রাখতে হবে। দাবি উঠতে চলেছে ৩১ মার্চের মঞ্চ থেকে।
আদিকালে ধর্ম ছিল না। শুধুমাত্র মানুষ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষে মানুষে বিভেদ বেড়েছে। যা কখনই কাম্য নয়। সেই কারণে এই চিহ্নিত করণ তুলে দিতে সরকারে স্বীকৃতির দাবি বলে জানা গিয়েছে।