গার্ডেনরিচে শিশু মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়! হিংসাতেই খুন, আর যা জানিয়েছে মৃতের বৌদি
গার্ডেনরিচে শিশু মৃত্যু কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। নিজের হাতে ৮ বছরের ঋজুকে জলে ডুবিয়ে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে ওই মহিলা।
গার্ডেনরিচে শিশু মৃত্যু কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। নিজের হাতে ৮ বছরের ঋজুকে জলে ডুবিয়ে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে ওই মহিলা। অভিযুক্ত প্রিয়ঙ্কা দাসকে আটক করে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ।
শুক্রবার
গার্ডেনরিচের
পাহাড়পুর
রোডে
৮
বছরের
শিশু
ঋজু
দাসের
অস্বাভাবিক
মৃত্যু
হয়।
শৌচালয়ের
ড্রামের
জলে
তার
দেহ
পাওয়া
গিয়েছিল।
কোনওভাবে
ড্রামের
জলে
ঢুবে
তার
মৃত্যু
হয়েছিল।
ঘটনার
পরেই
অস্বাভাবিক
মৃত্যুর
মামলা
দায়ের
করেছিল
পুলিশ।
তদন্তে
বাড়িতে
গিয়ে
ড্রামের
জলে
ডুবে
মৃত্যু
নিয়ে
সন্দেহ
ছিল
তদন্তকারীদের
মনে।
তবে পুলিশের কাজ সহজ করে দেয় ঋজুর বৌদি প্রিয়ঙ্কা দাসের স্বীকারোক্তি। নিজের স্বামী অর্থাৎ ঋজুর দাদা সুব্রত দাসকে প্রিয়ঙ্কা জানায় ঋজুকে সে খুন করেছে জলে ডুবিয়ে। শাশুড়ি থেকে বাড়ির সবাই, নিজের স্বামীর থেকে বাড়ির ছোট ছেলে ঋজুকে বেশি ভালবাসা। সেই হিংসাতেই তাকে খুন করেছে সে।
শিশুর মা মিতা দাস শুক্রবার জানিয়েছিলেন, দুপুরে ঘুমনোর সময় জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঋজুর দাদা সুব্রত দাস পুলিশকে জানিয়েছে, দুপুরে শৌচাগারে গিয়েছিল ঋজু। পরে ড্রামে ডুবে স্নান করে। সেই সময় ঋজুর বৌদি ড্রামের ঢাকনা চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে ড্রামের ঢাকনা খুলে ঘরে চলে যায়।
কিন্তু এর পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে প্রিয়ঙ্কা। খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর। পরে সোমবার রাতে স্বামী অর্থাৎ মৃত ঋজুর দাদা সুব্রত দাসকে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। মঙ্গলবার সকাল হতেই স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সোজা মেটিয়াবুরুজ থানায় হাজির হন তিলজলার বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুব্রত দাস। এরপরেই পুলিস প্রিয়ঙ্কা দাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।