পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে রায় দান শুক্রবার! বিজ্ঞপ্তি বিতর্কে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতির
পরপর তিনদিন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হল পঞ্চায়েত নিয়ে। বৃহস্পতিবার এই শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণা করা হবে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটেয়।
পরপর তিনদিন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হল পঞ্চায়েত নিয়ে। বৃহস্পতিবার এই শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণা করা হবে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটেয়। এদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত।
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে শুরু হয় পঞ্চায়েত মামলা। বিজ্ঞপ্তি বিতর্কে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। কমিশনের ক্ষমতা সম্পর্কেও জানতে চান বিচারপতি। মনোনয়নের দিন বৃদ্ধি করা নিয়ে কীভাবে রাজ্য পরামর্শ দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রাজ্যের তরফে সওয়ালে বলা হয় বর্যায় ভোট করা সম্ভব নয়, তাই কমিশনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে রমজান মাস নিয়েও আপত্তির কথা বলা হয় রাজ্যের তরফে।
শুনানির
তৃতীয়
দিনটি
ছিল
বিরোধীদের।
আদালত
সূত্রে
খবর,
এদিনের
শুনানি
শুরু
করেন
আইনজীবী
বিকাশরঞ্জন
ভট্টাচার্য।
তিনি
বলেন,
ভোট
প্রক্রিয়া
শুরু
হয়ে
গিয়েছে
বলে
নির্বাচনী
প্রক্রিয়ায়
হস্তক্ষেপ
করা
যাবে
না,
তা
কখনই
হতে
পারে
না।
শুনানিতে
বিজেপির
আইনজীবী
বলেন,
২০১৩-তে
ভোটের
তারিখ
পরিবর্তন
করা
হয়েছিল।
প্রয়োজনে
কলকাতায়
মনোনয়নের
ব্যবস্থার
পক্ষে
সওয়াল
করেছেন
বিজেপির
আইনজীবী।
কংগ্রেসের
তরফে
অধীর
চৌধুরী
শুনানিতে
অংশ
নেন।
হাইকোর্টের
নজরদারিতে
ভোটের
জন্য
সওয়াল
করেছেন
তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য আরও একদিনের জন্য ঝুলে রইল হাইকোর্টে। শুক্রবার বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এমতাবস্থায় পঞ্চায়েত ভোট পিছনো একপ্রকার পাকাপাকি হয়ে গেল।
গত দুদিন, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জোর সওয়াল করেছিলেন ভোট প্রক্রিয়ার ওপর আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তার ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। ফলে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতাই নেই। তা নিয়ে বিচারপতির সঙ্গে বাদানুবাদ চলে দীর্ঘক্ষণ।
বুধবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়ালের জবাব দেন সিপিএমের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, কমিশন তো তৃণমূলের বিরোধিতা করেনি। তাহলে কেন তৃণমূলের পক্ষে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি মেনে নেওয়া সম্ভব হল না। কেনই বা রাতারাতি ভোলবদল করে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল কমিশন। সেখানেই তো সমস্যা তৈরি হল।
বিজেপির আইনজীবী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সংবিধানের ওপর তাদের বিশ্বাস রয়েছে। তাদের বিশ্বাস, হাইকোর্টে সঠিক পথ দেখাবে।