শিখ সম্প্রদায়কে অপমান মমতার পুলিশের! রাজ্যপালের কাছে বিচারের দাবি গুরুদ্বারা কমিটির
শিখ সম্প্রদায়কে অপমান মমতার পুলিশের! রাজ্যপালের কাছে বিচারের দাবি গুরুদ্বারা কমিটির
পাগড়ি কাণ্ডে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এদিন একদিকে যেমন দিল্লি থেকে দিল্লির গুরুদ্বারা কমিটির সদস্যরা রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছেন অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে বিজেপির নাম না করে বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দিল্লির গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা কলকাতায়
এদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন দিল্লির গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্টের ৩ সদস্য। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান, শিখ সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ। সেখান থেকে দলটি চলে যায় হাওড়ায়। তাঁরা বলবিন্দর সিং-এর সঙ্গে দেখা করেন।
সাক্ষাৎ রাজ্যপালের সঙ্গে
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করেন দিল্লির গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্টের ৩ সদস্য। সেখানে বলবিন্দর সিং-এর বিষয়ে সুবিচারের দাবি জানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পুলিশ বলবিন্দরের পাগড়ি খুলে গোটা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করেছে।
শাসক দলে উদ্বেগ
বছর ঘুরলেই রাজ্যে নির্বাচন। তার আগে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই অসন্তোষ উদ্বেগ তৈরি করেছে শাসসকদলের অন্দরে। কেননা এই গুরুদ্বারা কমিটির কলকাতায় আসার আগে প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভাজন সিং থেকে শুরু করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে টুইট করে এই ঘটনায় বিচারের দাবি করেছিলেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরেই নয়, শিলিগুড়ি, আসানসোলের মতো জায়গায় বেশ কিছু আসনে শিখ ভোট রয়েছে।
পাগড়ি কাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের টুইট
এদিন
স্বরাষ্ট্র
দফতরের
করা
টুইট
করেছে
পাগড়ি
কাণ্ড
নিয়ে।
সেখানে
বলা
হয়েছে,
শিখ
ভাইবোনেরা
পশ্চিমবঙ্গে
শান্তিতেই
বসবাস
করেন।
প্রত্যেকের
তাঁরা
শ্রদ্ধার
পাত্র।
স্বরাষ্ট্র
দফতর
আরও
বলেছে,
প্রত্যেকেই
এই
সম্প্রদায়ের
মানুষকে
সম্মান
করেন।
পাশাপাশি
স্বরাষ্ট্র
দফতরের
তরফে
বিজেপির
নাম
না
করে
বিষয়টিতে
সাম্প্রদায়িক
রং
দেওয়ার
চেষ্টা
করা
হচ্ছে
বলে
অভিযোগ
তোলা
হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র
দফতরের
তরফে
বলা
হয়েছে,
বিষয়টিকে
যেভাবে
পক্ষপাতদুষ্টও
করা
হচ্ছে,
তাতে
বাংলা
বিশ্বাস
করে
না।
শিখদের
আশ্বস্ত
করতে
বলা
হয়েছে,
পশ্চিমবঙ্গ
সরকার
শিখপন্থের
প্রতি
সর্বোচ্চ
সম্মান
প্রদর্শন
করে।
নবান্ন অভিযানে পাগড়ি কাণ্ড
৮ অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কুর সিং-এর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাছ থেকে রিভলবার উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায় রিভলবারটি বেআইনি। পরে জানা যায় রিভলবারের লাইসেন্স থাকলেও সেটি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে চাপ বাড়ে তৃণমূল শিবিরে। সেখানে দেখা যায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বলবিন্দর সিং-এর পাগড়ি খুলে যাচ্ছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ! উল্লেখযোগ্য যাঁরা স্থান পেলেন