করোনার মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতার আশ্বাসে স্বস্তি যাত্রাপাড়ায়
করোনার মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতার আশ্বাসে স্বস্তি যাত্রাপাড়ায়
দেশজুড়ে চলা করোনা পরিস্থিতি আর সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি হওয়া লকডাউনের জেরে দুয়ার এঁটে শীতঘুমে ছিল যাত্রাপাড়া, বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আবারও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জেগে উঠছে চিতপুরের যাত্রা পাড়া।
সিনেমা, থিয়েটার, নাটক, সরকারি পার্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সবই বন্ধ ছিল করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আবার ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে যাত্রা, নাটক, সিনেমা হল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সংস্কৃতি চর্চার এই সবুজ সংকেতে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চিৎপুরের যাত্রাপাড়া।
এদিন যাত্রাপাড়ার দীর্ঘদিনের কলা-কুশীল, অভিনেতা - অভিনেত্রী, নির্দেশক - নির্দেশিকারা জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আমরা উজ্জীবিত। বড় দুঃসময় গিয়েছে। কিন্ত আমরা দিদির আশ্বাস পেয়েছি, নিশ্চিত ভাবেই ঘুরে দাঁড়াবো।'
গত কয়েক বছরের সুচি নিদর্শন তুলে ধরে তারা জানান, প্রতিবার রথযাত্রার দিন থেকে নতুন পালার বায়না করতে নায়েক বন্ধুরা আসেন। এ বছরের ছবিটা ছিল একেবারে অন্যরকম। পুজোর সময় দেশে-বিদেশে গ্রামে-গঞ্জে কত পালার বায়না হয়। কিন্তু এবছর সে সব অতীত। নমো নমো করে পুজো সারা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় পর থেকে চিৎপুর যাত্রাপাড়ায় শুরু হয়েছে তৎপরতা। মুখ্যমন্ত্রী টুইটে ঠিক কি বলেছেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ' সব কিছু যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে তখন যাত্রা, নাটক, সিনেমা, নৃত্য, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি, ম্যাজিক শো সব কিছুই আগামী ১ অক্টোবর থেকে শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চালু হতে পারে। ৫০ জনের মতো অংশ নিতে পারবেন। তবে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।'
তারপরেই আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল থিয়েটার নাটক যাত্রার মত সাংস্কৃতিক জায়গাগুলো। এত দিন তারা যেন সত্যিই শীতঘুমে ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই তারা যেন দরজা খুলে আবার সেই আগের মতো প্রাণ ফিরে পেয়েছে।