মেয়রের পাড়ায় চলল গুলি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রোমোটর
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই চলল গুলি। জানা গিয়েছে স্থানীয় এক প্রোমোটরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও প্রোমোটরের অল্পের জন্য রক্ষা পান।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই চলল গুলি। জানা গিয়েছে স্থানীয় এক প্রোমোটরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও প্রোমোটরের অল্পের জন্য রক্ষা পান।
[আরও পড়ুন: শহরে যুবকের রহস্য মৃত্যু, টালিনালা থেকে উদ্ধার দেহ]
বেনিয়াপুকুর কিংবা পার্কসার্কায় নয়। জায়গার নাম বেহালা। দু-দুজন বিধায়ক তথা মন্ত্রী এই বেহালা থেকেই। একজন হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অপর জন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এলাকায় যে তোলাবাজি রাজ নেই তা কেউই অস্বীকার করেন না। এলাকা জুড়ে কেউ কোনও বাড়ি কাজ শুরু করলেই একাধিক ব্যক্তি সেই জমির মালিক কিংবা প্রোমোটরকে হুমকি দিতে থাকে, তাদের কাছ থেকে ইমারতি দ্রব্য নেওয়ার জন্য। এরপর এলাকায় যার শক্তি বেশি সেই ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহের কাজটি পায়। বিরোধীদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে স্থানীয় প্রোমোটর কিংবা ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহকারী সবাই তৃণমূলের অনুগত।
মেয়রের পাড়ায় সেরকমই একজন হলেন, মিলন চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন দমকলকর্মী অবসরের পর থেকে প্রোমোটার হিসেবেই এলাকায় পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধের পর পরিচিত কারও ডাক পেয়ে বাড়ির বাইরে যান মিলন চট্টোপাধ্যায়। এরপরেই গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। যদিও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯৯৮ সালেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। তবে এবারের কোন পরিচিতের ডাক পেয়ে মিলন চট্টোপাধ্যায় বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। তদন্তে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে