রাগ-ক্ষোভ মিটছে না, সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে পার্থর মূর্তি দেখে জুতো ছুড়লেন দর্শকরা
সরস্বতী পুজোর মণ্ডপেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তি লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার অভিযোগ
রাগ আর ক্ষোভ যেন কিছুতেই মিটছে না। সামান্য মাটির স্ট্যাচু দেখেও ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জনতা। আবারও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার ঘটনা ঘটল। এবার অবশ্য পার্থর নিষ্প্রাণ মাটির মূর্তিকে লক্ষ্য করে জুতো ছো়ড়া হয়েছে। তাও আবার সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে। কাঁকুড়া গাছির সেই অপা থিম পুজোর মণ্ডপেই ঘটেছে সেই ঘটনা।
সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে অপা
বর্তমানের রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়োগ দুর্নীতি। সরস্বতী পুজোর মণ্ডপেও এবার থিম হয়ে উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড। কাঁকুড়গাছির সরস্বতী পুজোর থিম করা হয়েছিল 'বঙ্গে বিক্রি বিদ্যা'। আর সেই পুজোর থিমের অংশ হিসেবে মণ্ডপে জায়া করে নিয়েছিলেন অপা। অপার মাটির মূর্তি বসানোর পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকেও তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে এই মণ্ডপটি। অনেকেই আগে থেকে এসে ভিড় করছেন এই মণ্ডপে।
জুতো ছোড়ার অভিযোগ
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই স্ট্যাচুতে জুতো ছোড়া হচ্ছে। কাঁকুড়গাছির রেলে ব্রিজের কাছেই তৈরি হয়েছে সেইউ সরস্বতী পুজো প্যান্ডেল। সেই পুজোর মণ্ডপে হঠাৎ করেই হাওয়াই চটি পড়ে থাকতে দেখেন উদ্যোক্তারা। তারপরেই সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট হয় ঘটনাটি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাটির স্ট্যাচু লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তারপরেই মণ্ডপে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। কেউ জুতো ছুড়বেন না।
পার্থকে জুতো ছোড়া
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছোড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ইডির হেফাজতে থাকাকালীন এক মহিলা তাঁকে জুতো ছোড়েন। তিনি একেবারেই ঘরের বধূ। রাগে রোষের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন তিনি। তিনিও সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময়ই ঘটে সেই ঘটনা। তাই নিয়ে গোটা েদশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তারপরেই পুজো মণ্ডপে পার্থর মূর্তিতে জুতো ছোড়ার ঘটনা ঘটল। তারপরেই উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে পোস্টার দেওয়া হয়েেছ, 'দয়া করে কেউ জুতো ছুড়বেন না। এটি একটি মূর্তি। আসল মানুষ নহে। শুধুমাত্র একটি প্রতীকী মূর্তি।'
কার পুজো
এই সরস্বতী পুজোটি আসলে ভোট পরবর্তী িহংসায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পুজো বলেই মনে করা হয়। অভিজিৎ সরকার না থাকলেও তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই ঘটনায় একাধিকবার সাধন পাণ্ডেকে তলব করে জেরা করা হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
'হাতে খড়ি' নিয়ে CV Ananda Bose বললেন, জয় বাংলা! 'বর্ণপরিচয়' দিলেন মুখ্যমন্ত্রী