কবিতা থেকে সুরের মূর্চ্ছনা, কবিপ্রণামে বিভোর হলেন এই তিন শিল্পী, দেখুন ভিডিও
রবিকবির ব্যপ্তি কতটা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্ব সাহিত্যে নিখিল বিশ্বের আসল সত্যটি যিনি পুরোপুরি ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি হলেন লোকটি আমরা রবি-কবি বলেই জানি।
রবিকবির ব্যপ্তি কতটা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্ব সাহিত্যে নিখিল বিশ্বের আসল সত্যটি যিনি পুরোপুরি ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি হলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সেই বিশ্ববরেণ্য লোকটি-যাঁকে আমরা রবি-কবি বলেই জানি। প্রকৃতির রূপ-গন্ধকে তিনি যেভাবে বেঁধেছেন তাতে অন্য কেউ নিখিল বিশ্বের এমন মহিমা তুলে ধরতে পারেননি। তাই আজও রবীন্দ্রপ্রেমে জেগে ওঠে জগৎ। ২৫ বৈশাখ মানে এক আত্মার অসীমের খোঁজে বাঙালির বেরিয়ে পড়া।
এমন দিনে তাই রবি অনুরাগীরা মেতে ওঠেন শ্রদ্ধা ও নিবেদনের আনন্দে। কিন্তু, সুক্ষভাবে দেখলে কতটা ফাঁক রয়েছে শ্রদ্ধা ও নিবেদনের? বলতে গেলে শ্রদ্ধার সঙ্গে মিশে থাকে সম্ভ্রম এবং একজনের সম্পর্কে মর্যাদা। কিন্তু, 'নিবেদন' মানে কিছুর জন্য নিজের সত্তাকে মেলে দেওয়া। তাই শ্রদ্ধা ও নিবেদন যখন এক হয়ে যায় তখন তৈরি হয় এক অমোঘ সত্য। আর সত্য যেন ফুটে উঠল তিন শিল্পীর সৃষ্টিতে।
এই বঙ্গই তাঁর মাতৃভূমি। শরীর ও মনন জুড়ে রবীন্দ্রনাথ। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর গভীরযোগ। এহেন শর্মিলা ঠাকুর কবি প্রণামে পাঠ করলেন 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য- উচ্চ যেথা শির...'। ইউটিউবে আপলোড হওয়া এই কবিতা পাঠের ভিডিও ইতিমধ্যে একাধিকবার শেয়ার হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কলকাতার আকাশ-বাতাসেই পাখা মেলেছে তাঁর শিল্পী সত্তা। তাঁর সুরের মুর্চ্ছনায় বারংবার বেরিয়ে আসে ঝঙ্কার। এমনভাবেই সুরের দোলায় অনুরাগীদের রাঙিয়ে চলেছেন সরোদিয়া দেবজ্যোতি বসু। যাঁকে সঙ্গীতমহল টনি বা টনিদা বলেই জানে। এহেন দেবজ্যোতি কবি প্রণামে ইউটিউবে আপলোড করলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের এক সুর। যার সুর ও লয় শ্রোতাকে নিয়ে চলে যায় এক অন্য ভাব জগতে।
নয়া প্রজন্মের শিল্পী ইন্দ্রায়ুধ। সরোদের বোলে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে বহু শ্রোতাকে তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ করেছেন। শো-ভেলভেট নামে এক সাংস্কৃতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও পরিচালনা করেন ইন্দ্রায়ুধ। কবিপ্রণামে ফেসবুকে এক সরোদের সুরে ঝড় তুললেন তিনি। যা আপলোড হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। শেয়ার, লাইকে নজর কেড়েছে ইন্দ্রায়ুধের কবিপ্রণামের শ্রদ্ধার্ঘ।