ফের রোষ শ্যামাপ্রসাদে, ফলক বিকৃতিতে কালিমালিপ্ত ঐতিহ্যের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানের কাছে। এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ফলক কালিমালিপ্ত করা হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ফলক বিকৃতির ঘটনা ঘটল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা প্রাক্তন উপাচার্যের খোদাই করা নামের উপর কালি লেপে দেওয়া হয়। সোমবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কারা এই কাজ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা এই ঘটনায় জড়িত। এর আগে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানের কাছে।
এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ফলক কালিমালিপ্ত করা হল খাস কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রেসিডেন্সির মতো ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যাঁরা প্রেসিডেন্সিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বন্দোবস্তও করা হবে। এই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীদের নাম খোদাই করা হয়েছিল দেওয়ালের গায়ে। সেই খোদাই করা নামের উপরই কালি লেপে দেওয়া হয়। মূর্তি ভাঙার নোংরা রাজনীতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের মতোই কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ত্রিপুরা নির্বাচনের বিজেপির জয়ের পর লেনিনের মূর্তি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। তারপরই বিভিন্ন মনীষীর মূর্তির উপর রোষা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। বাংলাও সেই রাজনীতির ঊর্ধ্বে নয়। লেনিনের মূর্তি ভাঙার পরদিনই কেওড়াতলা মহাশ্মশানবন সংলগ্ন এলাকায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ায়ের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। একেবারে স্লোগান দিয়ে যাদবপুরের ছয় পড়ুয়া এই কাজ করে।
তারপর ফের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ফলক বিকৃত করা হয় এদিন। বুদ্ধিজীবী মহল এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে। এ ধরনের ঘটনা আদৌ অভিপ্রেত নয় বলে গর্জে ওঠে সুশীল সমাজ। এই কুরুচিকর রাজনীতি বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। অবিলম্বে এই নোংরা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে বলে সংস্কৃতি মহল আওয়াজ তুলেছে। সরকার পক্ষ থেকেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কালিমালিপ্ত-রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।