‘তিলোত্তমা’র শহিদ মিনারে ফাটল! দ্রুত পুরনো রূপ ফেরানোর উদ্যোগ ঐতিহাসিক সৌধের
শহিদ মিনারে ধরা পড়েছে ফাটল। মিনারের মূল স্তম্ভেই ফাটলের ছাপ স্পষ্ট। সিঁড়িতেও ধরপা পড়েছে চিড়ফাট। এদিনই পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা ফাটল পরীক্ষা করতে শহিদ মিনারে চড়েন।
শহিদ মিনারে ধরা পড়েছে ফাটল। মিনারের মূল স্তম্ভেই ফাটলের ছাপ স্পষ্ট। সিঁড়িতেও ধরপা পড়েছে চিড়ফাট। এদিনই পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা ফাটল পরীক্ষা করতে শহিদ মিনারে চড়েন। খুব শীঘ্রই এই ঐতিহাসিক মিনারের মেরামতের কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শহিদ মিনারের পুরনো রূপ দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ।
১৮২৮ সালে এই মিনার প্রতিষ্ঠা হয়। তখন এই মিনারের নাম হয় অক্টারলোনি মনুমেন্ট। পরে ভারত স্বাধীন হবার পর ১৯৬৯ সালের ৯ অগাস্ট নাম হয় শহিদ মিনার। অর্থাৎ ১৫৮ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই শহিদ মিনার ২০০ বছরের পূর্ণ হওয়ার ১০ বছর আগেই প্রাচীনত্বের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পূর্ত দফতরের তরফে মেরামত না হওয়া পর্যন্ত শহিদ মিনারে ওঠা নিষেধ।
ইস্টি ইন্ডিয়া কোম্পানির কম্যান্ডার মেজর জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলেনির স্মৃতিতে এই মিনারটি তৈরি হয়। মিনারের নকশা করেছিলেন জে পি পার্কার। বার্ন কোম্পানি এই মিনারটি তৈরি করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। ১৯৬৯ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয় মিনারটি। নতুন নাম হয় শহিদ মিনার। এই মিনারে রয়েছে ২২৩টি সিঁড়ি। ঐতিহাসিক এই সৌধের ফাটলে উদ্বিগ্ন পূর্ত দফতর দ্রুত সংস্কার শুরু করবে।