অভিজাত সল্টলেকে রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া! বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত
রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকের বিই ব্লকে ২২০ নম্বর বাড়ি ভট্টাচার্য পরিবারের। কমপক্ষে ১৮ দিন ধরে মা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের দেহ আটকে ছেলে।
রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকের বিই ব্লকে ২২০ নম্বর বাড়ি ভট্টাচার্য পরিবারের। কমপক্ষে ১৮ দিন ধরে মা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের দেহ আটকে ছেলে। প্রতিবেশীদের অভিযোগের পর ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদমন্ত করে বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চায় উত্তর বিধাননগর থানার পুলিশ।
বাড়ির
বাইরের
দিকে
ভাঙা।
দরজার
দুপাশে
জরুরি
নথির
জেরক্স
কিংবা
আসলটিই
আঠা
দিয়ে
আঁটা
রয়েছে।
বাড়ির
সীমানার
মধ্যে
রয়েছে
কিছু
খাবারের
প্যাকেট।
এহেন
বাড়ি
থেকে
দুর্গন্ধ
বেরোতে
প্রতিবেশীরা
খবর
দেন
পুলিশ।
পুলিশ
বাড়িতে
ঢুকে
দরজা
ভেঙে
দেখে
বিছানায়
শায়িত
রয়েছে
বৃদ্ধার
দেহ।
পাশেই
বসে
রয়েছে
ছেলে।
বাড়ির
বাইরে
কেন
আধার
কার্ড,
রেশন
কার্ড,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
উঠছে।
বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছেলের বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতের ছেলের দাবি, বিডন স্ট্রিটের বাবার বন্ধু এক পরিচিত চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি নাকি বলেছেন সাতদিন আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁৎ মায়ের। ছেলের দাবি, মা তাঁকে বলেছিলেন, মৃত্যুর পর কাউকে খবর না দিতে। বাড়িতেই দেহ সমাহিত করতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপাশের দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা ছিল না ওই পরিবারটির। ছেলে নাকি বাড়িতে ভাঙচুরও করত। একবার ভাঙচুরের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃতের স্বামী গোরা ভট্টাচার্য ছিলেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসক। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কেননা মৃতের ছেলে জানিয়েছিল প্রদীপের আলোয় মৃত্যু হয়েছিল বাবার।