এসএসসিতে দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এর কর্মসূচিতে উত্তাল করুণাময়ী
এসএসসিতে (SSC) বিভিন্ন পদের নিয়োগে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে হাইকোর্টে (High Court) মামলা চলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির বয়ানে ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি তদন্তে সিবিআই (CBI) নাকি অবসরপ্রাপ্
এসএসসিতে (SSC) বিভিন্ন পদের নিয়োগে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে হাইকোর্টে (High Court) মামলা চলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির বয়ানে ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি তদন্তে সিবিআই (CBI) নাকি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি যুক্ত আধিকারিক এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই (SFI-DYFI)-এর এসএসসির কেন্দ্রীয় অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে ধিরে উত্তাল সল্টলেকের করুণাময়ী।
এসএসসিতে দুর্নীতির অভিযোগ
এসএসসিতে গ্রুপডি পদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বয়ান ভিন্ন। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কমিশন সুপারিশ না করলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কীভাবে নিয়োগ করল। নেতা-মন্ত্রী-আধিকারিক অনেকেই এই নিয়োগ দুর্নীতি জড়িয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। একদিকে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলছেন, তিনি যে সময়কার ঘটনা, সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন না। অন্যদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না।
আদালতে মামলার সর্বশেষ অবস্থা
প্রথমে সরকার বিষয়টিকে আমল না দিলেও কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিশন বেঞ্চ। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় এসএসসি তথা রাজ্য সরকার। এদিন সিঙ্দল বেঞ্চের রায়ের ওপরে তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বিভিশন বেঞ্চ। এই সময়ের মধ্যে কমিশন ও পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এর কর্মসূচি
এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন এসএসসির কেন্দ্রীয় অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। করুণাময়ী থেকে তাদের মিছিল শুরু হতেই পুলিশ আটকে দেয়। এরপরেই সেখানেই অবরোধ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। দুর্নীতিতে যুক্ত আধিকারিক এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান তোলা হয়। বাম-ছাত্রযুবদের কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। যদিও একটা সময়ে তাদেরও হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা হয়। লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকা জুড়ে।
মহিলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ
এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এর অভিযোগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টানা-হেঁচড়া শুরু করে। ব্যাপক ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় শুয়ে পড়লে পুলিশ চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে গাড়িতে তুলে দেয়।
অমিত শাহের পথে অখিলেশ যাদব, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এসপির সম্ভাবনাময় অবস্থান