তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনে বড় ভাঙন! আরও শক্ত হল সরকারি কর্মচারী পরিষদ
তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনে বড় ভাঙন।
তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনে বড় ভাঙন। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বিজেপির সরকারি কর্মচারী সেলের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের নেতা দেবাশিস শীলের হাত ধরে কর্মী সংগঠন বদল করেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে সরকারি স্কুলের শিক্ষক থেকে তৃণমূলের সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রাক্তন কোর কমিটির নেতাও রয়েছেন।
ডিএ পে-কমিশন নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ দিকে দিকে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। মূলত তাকেই কাজে লাগাল বিজেপির সরকারি কর্মচারী পরিষদ। এদিন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর, স্বাস্থ্য, রাজ্য সচিবালয়, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, কর্মী প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগ, যুব কল্যাণ দফতর, পর্যটন দফতরের তৃণমূল সরকারি কর্মী সংগঠন থেকে বিজেপির সরকারি কর্মী সংগঠনে যোগ দেন অনেকে। তালিকায় ছিলেন হেয়ার স্কুলের শিক্ষক আশিস সিং এবং তৃণমূলে সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রাক্তন কোন কমিটির সদস্য সঞ্জীব পালও।
সংগঠন বদল অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী পরিষদের নেতা দেবাশিস শীল কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না। পরবর্তী সময়ে আর অনেক সরকারি কর্মী তাদের সংগঠনে যোগ দেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন দেবাশিস শীল। তিনি নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহদেরট আশ্বাসের কথাও শোনান। যেখানে তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিজেপির সরকারি কর্মচারী সেলের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর সাধারণ মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করলেই তাঁদের গ্রেফতার করছে।