স্কুটি-তে ৭০ কিলো পচা মাংস আটক, দমদমে ভাগাড় আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ
সম্প্রতি পচা মুরগির মাংস নিয়ে জোর বিতর্ক হয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি পচা মুরগির মাংস নিয়ে জোর বিতর্ক হয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যার জেরে ইএম বাইপাস সংলগ্ন ধাপা থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার রেশ মেলাতে না মেলাতেই সামনে আসে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রি-র ঘটনা। এই ঘটনা সাধারণ জনমানসে বিপুল আতঙ্ক তৈরি করেছে। এমনই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে দমদমের বিমান-বন্দর এলাকায় ৭০ কিলো পচা মাংস আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে শুক্রবার সকালে এক ব্যক্তিকে স্কুটি-তে করে মাংস বোঝাই ব্যাগ নিয়ে আসতে দেখেন এয়ারপোর্টের আড়াই নম্বর গেট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, ব্যাগে রাখা মাংস থেকে এতটাই গন্ধ বের হচ্ছিল যে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। স্কুটিতে থাকা ব্যক্তিকে ধরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সে দাবি করে মাংসগুলি মুরগির। কিন্তু এমন গন্ধ কেন বের হচ্ছে? তার উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যক্তি। সমস্ত মাংসই পচা বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
মাংসগুলি স্থানীয় একটি ফাস্ট-ফুডের দোকানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। স্কুটিতে মাংস নিয়ে আসা ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি নিয়মিত ওই ফাস্ট-ফুডের দোকানে মাংস সরবরাহ করেন। এই ঘটনা জানার পর আড়াই নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। কারণ মাস কয়েক আগে খোলা ওই ফাস্ট-ফুডের দোকানে সন্ধ্যা থেকেই ভিড় লেগে থাকে। স্থানীয় বহু বাসিন্দাই ওই ফাস্ট-ফুড সেন্টারে মাংসের নানা পদও চেখেছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ওই দোকানের মাংস খাওয়ার পর তাঁরা পেটের রোগে ভুগেছিলেন। সে সব যাত্রায় চিকিৎসক দেখিয়ে, ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, দোকানের কর্মীদের মাংস নিয়ে কেউ কেউ অভিযোগ করেছিলেন। খারাপ মাংস দেওয়ার অভিযোগ তারা উড়িয়ে দিয়েছিল। সায়েন্স সিটি থেকে দোকানে মাংস আসে বলেও দাবি করেছিল কর্মীরা। ওই ফাস্ট ফুড সেন্টারের মাংস খেয়ে বহু শিশুও অসুস্থ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
স্কুটিতে পচা মাংস আনা ব্যক্তিতে এয়ারপোর্ট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ স্কুটি ও মাংস আটক করেছে। ওয়াই এফ সি নামে ওই ফাস্ট-ফুড সেন্টারের মালিককেও জেরা করা হচ্ছে।