একলাফে বেড়ে যাবে ল্যাপটপ-ফোনের মস্তিষ্ক ক্ষমতা, কলকাতার বিজ্ঞানী বাবা-ছেলের অসামান্য কীর্তি
কলকাতা ও সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে একটি নতুন ধরনের মেমোরি ডিভাইস তৈরি হয়েছে যাতে ডিজিটাল স্টোরেজ নিয়ে ভাবতে হবে না।
কলকাতার বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন কীর্তি স্থাপনের পথে। এমন এক নতুন ডিভাইস তৈরি করেছেন যাদবপুরের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স-এর বিজ্ঞানীরা যার ফলে ডিভাইস স্টোরেজ নিয়ে ধারণা সারা বিশ্বে বদলে যাবে। ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটারের স্টোরেজ ক্ষমতা একলাফে হাজার গুণ বেড়ে যাবে। এমন স্টোরেজ ডিভাইজ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আর এই কাজের পিছনে মস্তিষ্ক কলকাতার বিজ্ঞানীদ্বয়ের। যারা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তাঁরা হলেন বিজ্ঞানী শ্রীব্রত গোস্বামী ও তাঁর পুত্র বিজ্ঞানী শ্রীতোষ গোস্বামী। তাঁদের সঙ্গে একাজে হাত লাগিয়েছেন সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে একটি নতুন ধরনের মেমোরি ডিভাইস তৈরি হয়েছে যাতে ডিজিটাল স্টোরেজ নিয়ে ভাবতে হবে না। যত ইচ্ছা ডকুমেন্ট স্টোর করা যাবে। সঙ্গে বিজ্ঞানীরা ডেটা প্রসেসিং সিস্টেম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই নতুন মেমোরি ডিভাইস তাঁরা তৈরি করেছেন যাদবপুরের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের সাহায্যে ও সঙ্গে ছিলেন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। এই নতুন ডিভাইস মেটাল-অর্গানিক যৌগ দিয়ে তৈরি ও বর্তমান মেমোরি সিস্টেমের চেয়ে হাজার গুণ বেশি তথ্য জমা করতে পারে।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী শ্রীব্রত গোস্বামী বলেছেন, বর্তমানে যত ডিভাইস রয়েছে তার মধ্যে আমাদের ডিভাইস সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। নতুন ডিভাইসটির খরচ কম, টেকসই বেশি ও শক্তির অপচয় কম হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শ্রীতোষও জানিয়েছেন, বর্তমানে ডিভাইস মেকানিজম নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন নতুন এক দিগন্ত খুলে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
কলকাতা ও সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই নতুন গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট প্রস্তুত হচ্ছে। আগামিদিনে খুব তাড়াতাড়ি এই নতুন ডিভাইস বাজারজাত করার বিষয়েও আশাবাদী কলকাতা ও সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা।