জিডি বিড়লাকাণ্ডে অপসৃত অধ্যক্ষা, ছাত্রী-নিগ্রহের পর কোন সমীকরণে খুলছে স্কুল
বুধবার সকাল থেকেই দু-ভাগ ছিল জিডি বিড়লার অভিভাবকরা। আগে অধ্যক্ষার অপসারণ, নাকি আগে স্কুল চালু- এই দ্বন্দ্বে অভিভাবকরা দু-ভাগ হয়ে পড়েন। তবে সর্বশেষে জয় হল ন্যায়ের
প্রবল চাপের মুখে পড়ে জিডি বিড়লা স্কুলের অধ্যক্ষাকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল চালু হচ্ছে। সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের ফলেই এই নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের জেরে নির্যাতিতা শিশু সুবিচার পেল। এবার দোষীদের আইনি পতে শাস্তি দেওয়ার জন্য লড়াই জারি থাকবে।
বুধবার সকাল থেকেই দু-ভাগ ছিল জিডি বিড়লার অভিভাবকরা। আগে অধ্যক্ষার অপসারণ, নাকি আগে স্কুল চালু- এই দ্বন্দ্বে অভিভাবকরা দু-ভাগ হয়ে পড়েন। কিন্তু সবাই ছিলেন শিশুটিকে বিচার দেওয়ার পক্ষে। শেষমেশ অভিভাবকদের সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনেরই জয় হল। এই আন্দোলনের ফলে অভিভাবক ফোরামও রেজিস্টার হয়ে গেল জিডি বিড়লায়।
স্কুলের ভিতরে যখন অভিভাবক ফোরামের প্রতিনিধিরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, স্কুলের বাইরে তখন দ্বিধাবিভক্ত অভিভাবকরা জড়িয়ে পড়েন বিতর্কে। এক পক্ষ জানালেন অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপোশ নয়। অন্য পক্ষের দাবি আগে স্কুল খোলা হোক, আইন চলুক আইনের পথে। দোষী শাস্তি পাক।
রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে চার বছরের শিশুছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বাংলার সুশীল সমাজ রাস্তায় নেমেছে। রাস্তায় নেমেছে অভিভাবক প্রতিনিধিরা। সেই দাবিতেই মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যক্ষা শর্মিলা নাথের অপসারণ দাবি করে অবিলম্বে স্কুল চালুর দাবি জানানো হয়েছিল। সেই দাবিতে সিলমোহর লাগাতে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ল।
বুধবার অভিভাবক ফোরামের সঙ্গে বৈঠকে বসে জিডি বিড়লা ম্যানেজমেন্ট। সেই বৈঠকে বর্তমান অধ্যক্ষাকে অপসারণ প্রস্তাব স্থগিত রেখেই স্কুল চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এবং অধ্যক্ষার অপসারণ প্রসঙ্গটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষাকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিভাবকদের একটা অংশ দাবি জানিয়েছিলেন, অধ্যক্ষা এই অন্যায়কে সমর্থন করেছেন, আড়াল করার চেষ্টা করঠেন ঘৃণ্য অপরাধ, তাই তাঁর অধীনে কোনও ছাত্র-ছাত্রীই নিরাপদ নয়, তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে। তারপরই স্কুল চালু হবে। অধ্যক্ষাকে ্পসারণ করে স্কুল চালু হচ্ছে। এদিন বৈঠকে ছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ফোরাম, শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা। ছিলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানও। তাঁদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তক নেওয়া হয়।