হিটলারের থেকেও ভয়ঙ্কর সময় দেশে, আতঙ্কের পরিবেশের সহিষ্ণুতার বার্তা বিদ্বজ্জনেদের
অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাও। তারই রেশ পড়ল বিদ্বজ্জনদের মনে। শুক্রবার বিদ্বজ্জনেরা কলকাতা থেকে তাদের প্রতিবাদ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে।
অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাও। তারই রেশ পড়ল বিদ্বজ্জনদের মনে। শুক্রবার বিদ্দজনেরা কলকাতা থেকে তাদের প্রতিবাদ ছুড়ে দিল কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের সরকারকে ট্রাম্প-হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। এই এনআরসিকে আতঙ্কের বলে ব্যাখ্যা করে বিদ্বজ্জনেরা জানালেন হিটলারের থেকেও ভয়ঙ্কর সময় এসেছে দেশে।
এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন, বিভাস চক্রবর্তী, সুবোধ সরকার-সহ বাংলার বিদ্বজ্জনেদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, অসমে অনৈতিক জাতীয় নাগরিকপঞ্জি করে দেশের ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী বলেন, আমরা বেশ ভয় পাচ্ছি, উদ্বেগে আছি। হঠাৎ করে চলে যেতে বললেই তো হল না। এ কাজ ট্রাম্প করতে পারে, হিটলার করতে পারে, কিন্তু এ জিনিস ভারতে হতে দেব না।
কবি সুবোধ সরকার গর্জে ওঠেন, দেশের বর্তমান সময় হিটলারের থেকেও ভয়ঙ্কর। বাংলা ও বাঙালির উপর আক্রমণ বরদাস্ত করব না। কেউ কেউ বাংলাতেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ চাইছে। এই এনআরসি একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে হয়েছে। কিন্তু কেউ অনুপ্রবেশ নিয়ে কিছু বলছে না। অনুপ্রবেশ রুখতে হবে, একথা কারও মুখে নেই। অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে দেশ থেকে একশ্রেণিকে তাড়ানোই এই এনআরসি-র উদ্দেশ্য।
সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক, তিনি সমন্বয়ের প্রতীকও। তিনিই সমন্বয়ের পথ দেখাবেন দেশকে। কী করে সহমিলে চলতে হয় তিনি দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতেও দেখাবেন। তিনিই সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেবেন। তাই সঠিক পথেই তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণের বিরুদ্ধে। কেউ রাতারাতি নাগরিকত্ব হারাতে পারে না। একটা রাজ্যের ৪০ লক্ষ মানুষ ভিটে-মাটি ছাড়া হতে পারে না বলেও প্রতিবাদে সরব হন অন্যান্যরা।