সিবিআইয়ের তলবে হাজির শঙ্কুদেব, নথি দেখে ডাকা হতে পারে আবার
কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর : সারদা মামলায় প্রথম দফার জেরায় একাধিক অসঙ্গতি পাওয়ার পরে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ফের হাজির হতে নির্দেশ দেয় সিবিআই। তবে তিনি সময়মতো হাজিরা দেননি। উল্টে হঠাৎ করে না বলে-কয়ে এসে হাজির হন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। তবে অবশেষে এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হলেন শঙ্কুবাবু। [সারদা কেলেঙ্কারি : অভিমানী মদন, বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ]
এর আগে ডেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি শঙ্কুদেবের। ফলে তাঁকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন বলবে, শুধুমাত্র সেই সময়েই আসতে হবে শঙ্কুদেবকে। অন্য সময়ে এলে হবে না। এরপরই নথি নিয়ে ফের তাঁকে হাজির হতে বলা হয়। সেইমতো এদিন প্রয়োজনীয় আয়কর ও অন্যান্য নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে যান শঙ্কুদেব পণ্ডা। এদিন ঘণ্টা দুই জেরা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবার ডাকা হবে বলেই সূত্রের খবর। আপাতত শঙ্কুর দেওয়া নথি খতিয়ে দেখার কাজ করছে সিবিআই।
শঙ্কুদেবকে এর আগেরবার অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর জেরা করে বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়েছিল সিবিআইয়ের। সেইজন্যই ২-৩ দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট প্রমাণ নিয়ে হাজির হতে বলেন গোয়েন্দারা। তবে শঙ্কুবাবু আসেননি। উল্টে হঠাৎ করে গত ৯ ডিসেম্বর এসে হাজির হন। এরপরই কড়া ভাষায় শঙ্কুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেইমতো এদিন সোমবার সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল শঙ্কুর।
কারণ সারদা গোষ্ঠীর যে দুটি চ্যানেলে কাজ করার নামে তিনি মোটা টাকা বেতন নিতেন সেটা যেমন রয়েছে, তেমনই নানা উপায়ে নানা সময়ে সারদার টাকা শঙ্কুর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া শঙ্কুবাবুর বয়ানেও অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। যা নিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে গোয়েন্দাদের। [ মুখ ঢাকা কালো চাদরে, 'পুলিশ' লেখা বাইকে চেপে ইডি অফিসে শঙ্কু]
সূত্রের খবর, সারদার টাকা কোথায় কোথায় খাটানো হয়েছিল, এর পিছনে উপরমহলের হাত কতখানি ছিল তা শঙ্কুবাবুর কাছে আরও বেশি করে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। আগামী মার্চ মাসের আগেই সারদা মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেবে সিবিআই। তার আগে শঙ্কুদেবের বয়ান এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মত সিবিআইয়ের।