অবশেষে জামিন, ৩৪ মাস পর মুক্ত কুণাল ঘোষ
কলকাতা, ৫ অক্টোবর : ৩৪ মাস পর জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ। বুধবার বিচারপতি অসীমকুমার রায় ও মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর অন্তবর্তীকালীন শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করল। এদিন দু'লক্ষ টাকার জামিনে মুক্ত হলেন তিনি। তাঁর উপর শর্ত আরোপ করা হয়েছে নারকেলডাঙা থানা এলাকার বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হল। [তিন শর্তে জামিন, কালই বাড়ি ফিরছেন কুণাল]
বুধবার সারদা মামলায় সিবিআইকে তুলোধনা করে হাইকোর্ট। এদিন সরাসরি সিবিআই-এর দিকে আঙুল তুলে বিচারপতি অসীমকুমার রায় বলেন, 'তদন্তের নামে যা কিছু বলবে, যা কিছু করবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। সারদা তদন্তে ক্ষতি করছে সিবিআই।'
দু-দু'টো শারদোৎসব তাঁর কেটেছে জেলে বসে। এবার পুজোটা অন্ত তাঁর স্বস্তিতে কাটবে। হাইকোর্টের বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিল জামিন পেতে চলেছেন কুণাল ঘোষ।
২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপর থেকে একটার পর একটা মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরই মধ্যে বারবার মুখ খুলে তিনি বিপাকে পড়েছেন। তার জামিন আটকাতে এবং তাঁর মুখ বন্ধ করতে বহু তৎপরতা দেখানো হয়েছে। কখনও তিনি নিজে সওয়াল করেছেন, যুক্তি সাজিয়েছেন কেন তাঁর জামিন পাওয়া উচিত। যুক্তি দিয়েছেন তাঁকে জোর করে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তবে এতদিনে মিলল বহু প্রতীক্ষিত জামিন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীমকুমার রায় বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছর সাজাপ্রাপ্ত হতে পারেন একজন দোষীসাব্যস্ত অপরাধী। অর্থাৎ সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ ৩৬ মাস। তার মধ্যে বছরে ৪৫ দিন হিসেবে তাঁর ছুটি প্রাপ্য চার মাস ১৫ দিন। অর্থাৎ তাঁকে সর্বোচ্চ জেল খাটতে হবে ৩১ মাস ১৫ দিন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কুণাল ঘোষ জেল খেটেছেন ৩৪ মাস ১১ দিন। প্রায় তিন মাস জেল তিনি বেশি খেটেছেন।
ফৌজদারি আইন অনুযায়ী এমনিতেই টানা দেড় বছর জেলে থাকলে জামিন দিতে বাধ্য আদালত। অতএব বিচারপতি এদিন জানিয়ে দেন, আগামীকালই শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে জামিন মঞ্জুর করা হবে। সেইমতো শর্ত আরোপ করতে বলা হয় সিবিআইকে।