কুণাল ঘোষকে ৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরায় বয়ান রেকর্ড, তৃণমূলে ফের সারদা-ভীতি
রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারদা-যোগ পাওয়ার পর কুণাল ঘোষকে এই ম্যারাথন জেরা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কলকাতা, ১১ জানুয়ারি : সারদাকাণ্ডে জামিনে মুক্ত তৃণমূলের সাসাপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষকে ৮ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরা করল সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কুণাল ঘোষকে জেরা করে আরও অনেক তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে সিবিআই। রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারদা-যোগ পাওয়ার পর কুণাল ঘোষকে এই ম্যারাথন জেরা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।[সুদীপের বাড়িতে রোজভ্যালি বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে! গাড়িও উপহার গৌতমের ]
রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর চিটফাণ্ড ইস্যুতে ফের তোলপাড় সারা দেশ। এরই মধ্যে সারদা কাণ্ডেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই কুণাল ঘোষকে তলব করে ম্যারাথন জেরার পরিকল্পনা। তৃণমূলের এই সাসপেন্ডেড সাংসদের বয়ানের ভিত্তিতে আরও অনেক তৃণমূল নেতা সিবিআই স্ক্যানারে আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই রোজভ্যালিকাণ্ডে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম উঠেছে। জড়িয়ে পড়েছেন রূপোলি জগতের খ্যাতনামা অনেকেও। তারপর সারদা তদন্ত আবার মাথাচাড়া দিলে তৃণমূলের বিপদ আসন্ন। কুণাল ঘোষের বয়ান রেকর্ডের পরে রাজনৈতিক মহলও আশঙ্কিত এবার কার ডাক পড়বে?
কুণাল ঘোষ জেল বন্দি থাকার সময় অনেকের নাম চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। তাঁদের কী যোগ সারদা কাণ্ডে তা নিশ্চয়ই জানতে চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই চিঠি তিনি আদালেতও পেশ করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ ব্যাপারে যে তাঁকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কুণাল ঘোষ এই জিজ্ঞাস্য বা বয়ান রেকর্ডের ব্যাপারে স্পিকটি নট। তিনি কোনও কথা বলতেই রাজি হননি জেরার পর। শুধু বলেছেন, সিবিআই আমাএক কয়েকটি ইস্যুর ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমা সাধ্যমতো তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তেব কী ইস্যু, কোন প্রশ্ন, সে ব্যাপারে আমি কিছুই বলব না।
যদিও তিনি এই মন্তব্য করেন যে, তৃণমূল আমার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে গ্রেফতার করেছিল। তা বলে আমি প্রতিহিংসা পরায়ণ হব না। আমি শুধু সত্যিটা বলার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি একজন তৃণমূলের সদস্য। তা-ই আছি। এ প্রসঙ্গে তিনি গানের একটি কলিও শোনান- 'মেরেছো কলসির কানা, তা বলে কি প্রেম দেবো না!' এর বেশি একটা কথাও বলতে তিনি রাজি হননি।