বিতর্ক অতীত! সন্তোষপুর লেক পল্লীর পুজোয় এবার 'মায়ের হেঁশেল' দেখতে উপচে পড়বে ভিড়
এবার 'অন্নপূর্ণার হেঁশেল' নিয়ে হাজির দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো সন্তোষপুর লেক পল্লী।
এবার 'অন্নপূর্ণার হেসেল' নিয়ে হাজির দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো সন্তোষপুর লেক পল্লী। পুজোর শুরুর আগে থেকেই টিজার নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয় সন্তোষপুরের এই পুজো কমিটিকে। এবার পুজোর থিম হিসেবে 'অন্নপূর্ণার হেঁশেল'কে তুলে ধরা হলেও একটি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা এবছর এই নামী পুজোর স্পনসর। যাদের এবারের মূল আকর্ষণ 'হলুদের প্যান্ডেল'।
বিতর্ক এখন অতীত
হলুদের বিজ্ঞাপনও বলা যায়। কিন্তু টিজারে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষার ব্যবহার করায় বিতর্কের তৈরি হয়। ফেসবুক-সহ অন্যান্য স্যোশাল মাধ্যমেও উঠেছিল এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়। তবে পুজো উদ্যোক্তারা জানান, 'মানুষের সারা জীবন কেটে যায় পেটের চিন্তায়। পেতে দুটো ভাতের জন্যই দিনরাত এত লড়াই। তবুও স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর ভারতে সকলের মুখে ভাত নেই। দিল্লি, আমাদের রাজধানীতেও অনাহারে মরতে হচ্ছে মানুষকে। তাই মায়ের কাছে দু'মুঠো অন্ন চেয়ে এবার পুজোয় সন্তোষপুর লেক পল্লী তাদের থিমের ভাবনাতে ফুটিয়ে তুলেছে মায়ের হেঁশেল।'
মণ্ডপের দেওয়ালে অন্য ছবি
শিল্পী ন্যাশনাল আর্ট কলেজের প্রাক্তনী মলয় ও শুভময়। তাদের কথায়, 'সারা বিশ্বজুড়ে যে প্রচন্ড খাদ্যাভাব চলছে সেটাই এবারের থিম। এর ভাবনার প্রেরণা যে জন্য এই মন্ডপের মূর্তিতে মা অন্নপূর্ণার একটা আভাস পাওয়া যাবে। মায়ের কাছে সন্তানেরা একটু অন্ন চাইছে। যেন মণ্ডপের দেওয়ালে দেওয়ালে তারই ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
মায়ের বিশাল হেঁশেল
মণ্ডপে
ঢুকতেই
চোখে
পড়বে
মায়ের
বিশাল
হেঁশেল।
একটা
কাঠের
উনুন
১৪
ফুট
উচ্চতা
আর
৮
ফুট
ব্যাসের
বিশাল
হাঁড়ি
বসানো।
আর
এই
হেঁশেলের
একটি
আবশ্যক
উপাদান
হল
হলুদ।
কারণ
হলুদ
আমাদের
জীবনের
সঙ্গে
ওতপ্রোতভাবে
জড়িয়ে
রয়েছে।
প্রায়
সব
রান্নাতেই
হলুদ
লাগে।
হলুদ
ছাড়া
কোন
রান্নাই
সম্পন্ন
হয়
না।
এছাড়াও
মাঙ্গলিক
কাজে
ও
ঘরোয়া
চিকিৎসায়
হলুদ
নানাভাবে
ব্যবহৃত
হয়।
মণ্ডপ
সজ্জায়
গোটা
হলুদ
ব্যবহার
করা
হয়েছে
প্রায়
চার
টন।
এছাড়াও
থার্মোকলের
শীল।
ধুধুল
দিয়ে
তৈরি
নোড়া
থাকছে।
মন্ডপ
এর
উচ্চতা
২৬
ফুট
থেকে
ধাপে
ধাপে
কমে
মায়ের
মন্দিরে
১৫
ফুট
রাখা
হয়েছে।
এক
মাসেরও
বেশি
সময়
ধরে
কাজ
চলেছে
বলে
জানান
শিল্পীদ্বয়।
রয়েছে নানা ব্যবস্থা
সম্পাদক সোমনাথ দাস ও সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, 'এই মণ্ডপে অগ্নি নিরাপত্তা ও সমগ্র নিরাপত্তা দিক দিয়ে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মণ্ডপে অগ্নি রোধক, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকছে উদ্যোক্তরা আশাবাদী গত বছরের মতো এবারও ঘরে আসবে নানান উৎসব সম্মান। প্রতিমা শিল্পী কুমোরটুলির পরিমল পাল। আলোকসজ্জায় থাকছেন আশিস সাহা। আবহশিল্পী হিসাবে থাকছেন মৈনাক।