শহরে ফিল্মি কায়দায় দুষ্কৃতী হানা! দিনে দুপুরে লুঠপাট দোকানে
সকালের ব্যস্ত সময়ে দুষ্কৃতী হানা সল্টলেকে। অভিযোগ অনুযায়ী, এডি ব্লকের নাম করা কফি শপে অস্ত্র নিয়ে হানা দেয় চার দুষ্কৃতী। প্রথম একজনের নাম করে সেখানে ঢোকে।
সকালের ব্যস্ত সময়ে দুষ্কৃতী হানা সল্টলেকে। অভিযোগ অনুযায়ী, এডি ব্লকের নাম করা কফি শপে অস্ত্র নিয়ে হানা দেয় চার দুষ্কৃতী। প্রথম একজনের নাম করে সেখানে ঢোকে। পরে অস্ত্র দেখিয়ে কর্মীদের হাস-পা বেঁধে অবাধে লুঠপাট চালিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা ক্যাশবাক্স থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
এডি ৮৪ নম্বর বাড়িতেই রয়েছে উপনগরীর পরিচিত কফিশপ। কফিশপের কর্মীদের দাবি অনুযায়ী, সকাল তখন সাড়ে দশটা। সেই সময় চারজন সেখানে ঢোকে ক্রেতা সেজে। ক্যাশ কাউন্টারে যিনি ছিলেন, তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা লুঠ করে। পালানোর সময় সেখানে থাকা কর্মীকে বেঁধে রেখে চলে যায়।
পরে কোনও রকমে বাঁধন খুলে মালিককে ফোন করেন ওই কর্মী। ১৫ মিনিটের মধ্যে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে বলে জানা গিয়েছে।
দোকানের মালিক সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় কফি শপ খোলার কিছুক্ষণ পরেই গেস্টের মতো সেখানে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেই সময় ভিতরে পরিষ্কার ও সাজানোর কাজ করছিলেন শুভঙ্কর ঘোষ নামে ওই কর্মী। কফি শপের ঢোকার পর বাবু নামে কোনও একজনের কথা বলে দুষ্কৃতীরা। দলের একজন যখন ওই কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিল, অপর একজন পিস্তল বের করে। ভয় দেখিয়ে ক্যাশবাক্সের কাছে নিয়ে যায়। ক্যাশবাক্স লুঠ করার সঙ্গে শুভঙ্কর ঘোষ নামে ওই কর্মীর হাত-পা বেধে রেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর উত্তর থানা এবং বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। দোকানের ওই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। পরে কফি শপের মালিক, বাড়ির মালিক এবং কর্মীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
দোকানে একটি মাত্র সিসিটিভি থাকলেও তার ছবি একেবারেই পরিষ্কার নয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দোকান মালিকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। দোকানে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলা হয়েছে তাঁকে।
বিধাননগরের ডেপুটি কমিশনার সদর জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে কফিশপের বাইরের এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে এই এডি ব্লকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এক বৃদ্ধার সোনার চুরি খুলে নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়।