বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার
অমিত শাহের শহরে শহরে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা আগে বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কলকাতার রাজপথে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি যুবর খণ্ডযুদ্ধে অবরুদ্ধ সেন্ট্রাল এভিনিউ চত্বর। গ্রেফতার রিমঝিম, কাঞ্চনা মৈত্র সহ গ্রেফতার ১৫০ জন।

জানা গিয়েছে, সারা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে, বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মহা মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। আর তা ঘিরেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। এদিন দুপুরে বিজেপির রাজ্য সদর দফতর ৬ মুরলী ধর সেন লেন থেকে গান্ধী মূর্তীর পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু মুরলী ধর সেন লেনের সামনেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আর তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার।
পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। চলে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা। ক্রমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় পুলিশের ধস্তাধস্তি। বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা এরপরে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরিস্থতি সামলাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করতে হয়।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিয়োগ করেছে গেরুয়া শিবির। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলা কর্মীদের উপর লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলাতে ১৫০ জন যুব মোর্চার কর্মীদের আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র ও কাঞ্চনা মৈত্রও ছিল বলে দাবি করছে পদ্ম শিবির।
প্রসঙ্গত, আজ রাতে বাংলার মাটিতে ফের পা পড়তে চলেছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহের। তার আগে শহরের বুকে এরকম ঘটনা যথেষ্ট জল্পনা বাড়াবে বলেই মনে করছে বিজেপি। মূলত আইন শৃংখলার অবনতিকেই সামনে এনে বারংবার তুলে ধরতে চাইছেন রাজ্য বিজেপির উঁচু থেকে নিচু একাধিক নেতা নেত্রীরা।

নীতি বিসর্জন দিয়ে আখের গোছালে তৃণমূলে স্থান নেই, হুঁশিয়ারি মহুয়ার