আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভা বাতিল, নেপথ্যে কি মমতার সরকারের ইন্ধন
ভগিনী নিবেদিতার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩ অক্টোবর মহাজাতি সদনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল কোশরীনাথ ত্রিপাঠী ও রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের।
মহাজাতি সদনে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আরএসএস প্রধানের সভা বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সভা বাতিলের জেরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মিশন ট্রাস্ট। হাইকোর্ট আরএসএসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
ভগিনী নিবেদিতার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩ অক্টোবর মহাজাতি সদনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল কোশরীনাথ ত্রিপাঠী ও রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের। সেইমতো মহাজাতি সদন ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে এই বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে এই অনুষ্ঠান নিয়েই ঘোর অনিশ্চয়চতা তৈরি হয়েছে।
আরএসএসের অভিযোগ, পুজোর সময় বুকিং করা হচ্ছে বলে বাড়তি টাকাও নেওয়া হয়েছিল। তবু কেন বাতিল হল তা বোধগম্য হচ্ছে না। এদিনই মহাজাতি সদন কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্ত দফতরের কাজ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই আগামী সমস্ত বুকিংই বাতিল করা হয়েছে। শুধু আরএসএসের সভাই বাতিল হয়নি।
যদিও এই বুকিং বাতিল প্রসঙ্গে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে অভিযোগ করছে আরএসএস। তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনেই এই বুকিং বাতিল করা হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। নিবেদিতা ট্রাস্টের পক্ষে জানানো হয়েছে, এমন সময়েই বুকিং বাতিল করা হল, অনুষ্ঠানটি করা যাবে কি না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মহাজাতি সদন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় নিবেদিতা ট্রাস্ট। ট্রাস্টের পক্ষে বলা হয়, 'কীভাবে অগ্রিম নিয়েও অনুষ্ঠান বাতিল করা যায়! কেন এসব করা হল, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। আমাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে। আমরা এ নিয়ে আন্দোলনে নামব।'
আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেন, 'রাজ্য সরকারের মদতেই এইসব কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। নিয়ম মেনে বুকিং করা হয়েছিল। তার প্রমাণপত্র রয়েছে। রাজ্য সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে সংগঠনের সভা-সমিতিতে বাধার সৃষ্টি করছে। রাজ্য পরিকল্পিতভাবেই এইসব কাজ করছে।'