সংঘকে ছোট করতেই সিলেবাসে রবীন্দ্র-বিতর্ক, নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা ন্যাসের
আরএসএসের তরফে অভিযোগ করা হয়, সংঘ পরিবারের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতেই বিরোধীরা এই বিতর্কে ইন্ধন দিচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কে তৈরি করা হয়েছে আরএসএসকে ছোট করতেই। বুধবার আরএসএসের তরফে এই দাবি করে জানানো হয়, 'রবীন্দ্রনাথ আমাদের হৃদয়ে রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথকে আমরা অসম্মান করিনি, তাঁকে আমরা অসম্মান করতে পারি না। কারণ আরএসএসের মৌলিক তত্ত্বই হল রবীন্দ্রনাথ।'
এদিন আরএসএসের তরফে অভিযোগ করা হয়, সংঘ পরিবারের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতেই বিরোধীরা এই বিতর্কে ইন্ধন দিচ্ছে। এমনকী ন্যাসের তরফে কবিগুরুকে বাদ দেওয়ার কোনও সুপারিশই করা হয়নি বলে জানানো হয়। বুধবার ন্যাসের তরফে কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে নিশানা করা হয় তৃণমূলকে।
বুধবার সংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কোনও সংস্রব নেই। বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় করার উদ্দেশ্য।
এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তকে সংশোধনের জন্য সুপারিশ দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। সেই মতো ন্যাসের তরফে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়। সেখানে রবীন্দ্রনাথ, মির্জা গালিব-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কিছু লেখা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশকে ঢাল করে আরএসএসকে ভারত-বিদ্বেষী প্রচার করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিন ন্যাসের তরফে জানানো হয়, রবীন্দ্রনাথের কোনও রচনাই বাদ দেওয়ার সুপারিশ তাঁরা করেননি। তাঁরা কেবল শিশুমনে প্রভাব ফেলে এমন কিছু প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য আসরে নামে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর সাফ জানিয়ে দেন, রবীন্দ্রনাথকে বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এমন কোনও প্রস্তাব মানা হবে না। বিতর্কের অবসান হয় সেখানেই। তবু ন্যাসের তরফে ময়দানে নামেন শিক্ষাবিদরা।