বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএম, দেশ বাঁচাতে সাংসদের ভরসা মমতাই
বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএম। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএম। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াইয়ের মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাখঢাক না করে সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে গলা ফাটালেন ঋতব্রত। তিনি সাফ জানালেন মানুষের উচিত উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া।
সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদের কথায়, মানুষকে একটা পক্ষ নিতেই হয়। সেই নিরিখে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নেওয়াই কেন শ্রেয় তা তুলে ধরেন ঋতব্রত। তাঁর কথায়, রাজ্যে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা পূর্ব পরিকল্পিত। বিজেপি খুব নীরবে রাজ্যকে সন্ত্রস্ত করে তুলছে। কোবরা স্টিং অপারেশন মতো ঘটনা তারই প্রমাণ।
এমনকী কুলতলির মতো জায়গাতে আরএসএস অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতে চেয়েছিল। এসব কী চলছে। এক কথায় বলা যায় এই প্রবণতা দেশে ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের নামান্তর মাত্র। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আর দেশকে এই চরম অবস্থায় সঠিক পথ দেখাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঋতব্রতর অভিযোগ, এ রাজ্যেও জাল ছড়াতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য রাজ্যে প্রচুর টাকা আসছে। এই অবস্থায় বিজেপির মতো শক্তিকে প্রতিরোধ করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই ভোট দিতে হবে উন্নয়নের পক্ষে। বিজেপি বিরোধী শক্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।
সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ, ইতিমধ্যেই সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের অশুভ শক্তি ধেয়ে আসছে বাংলায়। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করা উচিত। আর সেটাই করতে হবে সর্বাগ্রে। সেই বার্তা দিতে চাইছেন তিনি।