সিপিএম ছেড়ে পাড়ি কি বিজেপিতেই, প্রশ্ন শুনেই রেগে লাল ঋতব্রত
কমিশনের রায়েই রাজ্য কমিটি থেকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। এরপরই তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনার মধ্যেই অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ।
অরুণ জেটলির সঙ্গে গোপন বৈঠকের খবরে জল্পনা শুরু হয়েছিল সিপিএমের সাসপেন্ডেড সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন ঋতব্রত স্বয়ং। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন শুনেই ক্ষেপেও গেলেন তিনি। এমনকী যাঁরা এসব মিথ্যে প্রচার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিলেন তরুণ এই সাংসদ।
মুখে বামপন্থার কথা বললেও তাঁর দৈনন্দিন জীবন-যাপন ছিল আভিজাত্যে ভরপুর। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। এই নানা অভিযোগের পরই তাঁর বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করা হয়। সবশেষে তাঁকে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম।
এরপরই তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-র সঙ্গে দেখা করেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। তাতেই জল্পনার পারদ আরও চড়তে থাকে। রাজ্যসভার এই তরুণ সাংসদ সিপিএমে কোণঠাসা হয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এই সম্ভাবনা কথা প্রচার হতে থাকে।
এদিন এই প্রশ্ন শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, 'একজন সাংসদ হিসেবে একজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা, কোনও অসৌজন্যের নয়, এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। কোনও বৈঠক হলেই দলবদলের গল্প বানানো এখন সংবাদমাধ্যমের কাজ হয়ে উঠেছে। যাঁরা এসব করে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।'
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মুকুল রায়কে নিয়েও একইরকম জল্পনা হয়েছিল। অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠকের খবর রটতেই মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি ফের সামনে চলে আসে। সংবাদ মাধ্যমে নানারকম খবর প্রচার হতে শুরু করে। এরপর মুকুলবাবু এই বিষয়ে মুখ খুলে আপাত জল্পনার অবসান ঘটান। একই পথ নিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও।