রেজাল্ট আউট মমতা মন্ত্রিসভার সদস্যদের, তিন দফতরের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
নতুন বছরের প্রথম রিভিউ মিটিং-এ ডাহা ফেল করলেন নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা, ৬ জানুয়ারি : নতুন বছরের প্রথম রিভিউ মিটিং-এ ডাহা ফেল করলেন নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ও মন্ত্রী অসীমা দাসের দফতরের উপরও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তবে লেটার মার্কস পেয়ে পাস করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শুভেন্দু অধিকারীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর রিপোর্ট কার্ডে সসম্মানে উত্তীর্ণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরাও। হেভিওয়েটদের মধ্যে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বেশি নম্বর দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। সার্বিকভাবে তাঁর কাজে খুশি মুখ্যমন্ত্রীষ কিন্তু এখনও গ্রামে গ্রামে লো-ভোল্টেজের সমস্যা প্রবল থাকায়, তা মেটানোর নির্দেশ দিলেন মন্ত্রীকে।
মমতা বললেন, অতি সত্ত্বর দূর করতে হবে লো ভোল্টেজ সমস্যা। সাধন পাণ্ডেকে বললেন, বিজ্ঞাপনে যা খরচ হচ্ছে, কাজ সেইভাবে হচ্ছে না। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের উপরও সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর কাজেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।মন্ত্রিসভা ছোট করার পর প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক। তাই বিশেষ গুরুত্ব ছিল এদিনের পর্যালোচনার। সেইমতো এদিন টাউন হলেরাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের গতিপ্রকৃতি জানতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী খুঁটিয়ে দেখেন প্রতিটি দফতরের কাজের অগ্রগতি। কোন দফতর কতটা এগোল, কে কত খরচ করল, কোন কোন কাজের কতটা অগ্রগতি হল, তার মূল্যায়ন করেই তিনি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করেন। দফতরকে নম্বর দেন। তাই প্রতি দফতরের সচিবই এই রিভিউ মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন জোরদার।
স্বভাবতই এই বৈঠকের আগে মমতা মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা চাপে থাকেন। এদিনও চাপে ছিলেন। যাঁরা ফেল করলেন, তাঁদের উপর চাপ জারিই রইল। যো সব মন্ত্রীরা সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন, তাঁরা উৎসাহ পেলেন আরও ভালো কাজ করার।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী একে একে জেলা সফর শুরু করবেন। মিনি মহাকরণ সাজিয়ে জেলার উন্নয়ন পর্যালোচনা শুরু হবে। প্রতি দফতরকে যে টার্গেট দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখলেন। রিপোর্ট দিলেন সমস্ত দফতরকে। যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদের এগনোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।