ফাটল মেরামতের কাজ শুরুর মধ্যেই খুলে গেল উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একটি ফ্ল্যাঙ্ক
উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হল শুক্রবার থেকে। একই সঙ্গে এদিনই খুলে দেওয়া হল উড়ালপুলের বাইপাস থেকে দমদম বিমানবন্দরগামী ফ্ল্যাঙ্ক। সুরক্ষার কারণে যা এতদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হল শুক্রবার থেকে। একই সঙ্গে এদিনই খুলে দেওয়া হল উড়ালপুলের বাইপাস থেকে দমদম বিমানবন্দরগামী ফ্ল্যাঙ্ক। সুরক্ষার কারণে যা এতদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে উল্টোডাঙা উড়ালপুল সহ শহরের অন্যান্য ব্রিজ পরিদর্শন এবং সাংমগ্রিক পরিস্থিতির নজরদারির জন্যে রাজ্যে সরকারের তৈরি করা সেলে কিছু রদবদল আনা হয়েছে বলে খবর। চিফ ইঞ্জিনিয়ারের (হেড কোয়ার্টার) নেতৃত্বাধীন ওই সেলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১৭৪৯টি ব্রিজের মধ্যে ৭৩৮টির স্বাস্থ্য খারাপ। সেই ব্রিজগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের কী ভাবনা-চিন্তা, তা অবশ্য জানা যায়নি।
এদিকে কলকাতা এবং দমদম বিমানবন্দরের অন্যতম টাচ লাইন উল্টোডাঙা উড়ালপুলে মোট আটটি ফাটল ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সবগুলি মেরামত করতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগার কথা। তবে ফাটল মেরামতের জন্য পুরনো ক্রপ গুলি পাওয়া গেলে দশ-বারো দিনেই শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এই উড়ালপুলে যান চলাচল করানো যেতে পারে বলেই রাজ্যের পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
তা না হলে অর্থাৎ নতুন ক্রপ তৈরি করতে গেলে মাস দুয়েক সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই সময় মাঝেরহাটের মতেই বেইলি ব্রিজ তৈরি করে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হবে বলেও খবর। উল্টোডাঙা ব্রিজের ক্রপগুলি খুঁজতে, ব্রিজের নির্মাণকারী সংস্থা ম্যাকিনটস বার্নের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্যের পূর্ত দফতর ও কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। সেই সংস্থাকে দিয়েই উড়ালপুল মেরামতির কাজ করানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উল্টোডাঙা উড়ালপুলের বাইপাস থেকে দমদম বিমানবন্দরগামী ফ্ল্যাঙ্ক খুলে দেওয়া হয়। তার আগে ব্রিজ পরিদর্শবকারী ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয় যে ওই ফ্ল্যাঙ্ক যান চলাচলের জন্য নিরাপদ। এর ফলে বাইপাস, সল্টলেক এবং নিউটাউনের দিকে যানজট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। তবে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ওই ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।