সাজছে রেডরোড! কার্নিভালের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে
মঙ্গলবার কার্নিভাল। ২০১৬ সালে প্রথম বিসর্জন কার্নিভাল দেখার সুযোগ করে দেয় রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই পুজোর পর আরও একবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঠাকুর দেখার আনন্দ উপভোগ করতে মুখিয়ে থাকেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
মঙ্গলবার কার্নিভাল। ২০১৬ সালে প্রথম বিসর্জন কার্নিভাল দেখার সুযোগ করে দেয় রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই পুজোর পর আরও একবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঠাকুর দেখার আনন্দ উপভোগ করতে মুখিয়ে থাকেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কলকাতা এবং শহরতলির নানা প্রান্ত থেকে তো বটেই, বিভিন্ন জেলা থেকেও কার্নিভালের সাক্ষী থাকতে হাজির হয় লক্ষ লক্ষ চোখ।
কলকাতা কার্নিভাল
পুজোর ক'দিনে ভিড় ঠেলে গোটা কলকাতায় প্যান্ডেল হপিং যাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তাঁরা রেড রোডের ধারে দাঁড়িয়ে কার্নিভালে অংশ নিতে পারবেন। এবার কার্নিভালে ৭৫টি পুজো অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সূত্র বলছে এবার কার্নিভালে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা ৭৩ টি পুজো কমিটির।
কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত
ইতিমধ্যেই কার্নিভালকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গোটা নগরকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তা বলয়ে। যানবাহন চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পথের পরিবর্তন করা হচ্ছে।
রাজবাড়ির অলিন্দের আদলে তৈরি মূল মঞ্চ
রাজবাড়ির অলিন্দের আদলে তৈরি হচ্ছে মূল মঞ্চ। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা বসবেন। মঞ্চে প্রায় ৯০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে।
দর্শকদের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত
সূত্রের খবর, প্রায় ২০০০ পুলিসকর্মী কার্নিভালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এবার ২০ হাজার দর্শকের জন্য আসন সংরক্ষিত। এছাড়াও বিদেশি পর্যটকদের জন্য রয়েছে ১৫০০ আসনের সংরক্ষণ। ভিআইপি অতিথিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রতিম নিরঞ্জন বাবুঘাটে
গত দুবছর ধরে কার্নিভ্যাল দেখতে শুধু ভিন্ন রাজ্য নয়, বিদেশ থেকেও অসংখ্য অতিথিরা আসেন। গত বছর ৬৮টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল। সেই তুলনায় এ বারের কার্নিভালে পুজো কমিটির সংখ্যাটা একটু বেশিই। বর্ণময় মিছিল, সুসজ্জিত ট্যাবলো, চোখ জুড়নো প্রতিমা আর রেড রোড ঘিরে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা সব মিলিয়ে জমে যাবে এবারের কার্নিভাল। গতবারের মতোই এ বারও রেড রোড থেকে বেরিয়েই বাবুঘাটের দিকে নিরঞ্জনের পথে যাবে প্রতিমা।