অধরা রৌনক মৃত্যু রহস্যের সূত্র, মাঝি গ্রেফতার হলেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বন্ধুরা
এখনও খোঁজ মিলল না মাঝ গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া যাদবপুরের মেধাবী ছাত্র রৌনকের। এখনও অধরা তাঁর মৃত্যু রহস্যভেদের সূত্রও। মাঝগঙ্গায় রৌনক তলিয়ে গেল কী করে? কী করে সে নৌকা থেকে পড়ে গেল গঙ্গায়?
কলকাতা, ২৬ নভেম্বর : এখনও খোঁজ মিলল না মাঝ গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া যাদবপুরের মেধাবী ছাত্র রৌনকের। এখনও অধরা তাঁর মৃত্যু রহস্যভেদের সূত্রও। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, মাঝগঙ্গায় রৌনক তলিয়ে গেল কী করে? কী করে সে নৌকা থেকে পড়ে গেল গঙ্গায়? রৌনক মৃত্যু-রহস্যের তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে নৌকার মাঝি শেখ সফিজউদ্দিনকে। কিন্তু রৌনকের বন্ধুদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের পর।
তবে কি রৌনক অসাবধানবশত পড়েই গিয়েছে গঙ্গায়? বন্ধুদের দাবি, নৌকা থেকে বোটে উঠতে গিয়ে পড়ে যায় রৌনক। তারপরই প্রবল স্রোতের মুখে তলিয়ে যায় সে। কেউ সাঁতার না জানায় রৌনককে বাঁচানোর চেষ্টাও করা যায়নি। কিন্তু মাঝির কথায় উঠে আসে অন্য সুর।
সফিজউদ্দিন
পুলিশি
জেরায়
জানায়,
বন্ধুরা
মাঝ
গঙ্গায়
নৌকা
থামিয়ে
মদ
খেয়ে
ঠেলাঠেলি
করছিল,
তখনই
পড়ে
যায়
রৌনক।
তবে
কি
কোনও
বন্ধু
তাকে
ধাক্কা
মেরেছিল?
তা
জানার
চেষ্টা
চালাচ্ছে
পুলিশ।
পুলিশ
তদন্ত
নেমে
জানতে
পেরেছে,
মাঝ
গঙ্গায়
একটি
বোটের
সঙ্গে
নৌকাটি
বেঁধে
মাঝি
বোটের
কর্মীদের
সঙ্গ
গল্পে
মশগুল
ছিল।
তখনই
ঘটে
যায়
এই
মর্মান্তিক
ঘটনা।
দীর্ঘক্ষণ
মাঝি
না
আসায়
তাকে
ডাকতে
গিয়েই
বিপত্তি
ঘটে
বলে
মনে
করছে
পুলিশ।
তাকে
গাফিলতির
দায়েই
গ্রেফতার
করা
হয়েছে।
এর পাশাপাইশ বন্ধুদের ভূমিকা খতিয়ে দখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, মাঝি কি স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিল? নাকি ওই মাঝিকে চলে যেতে বলা হয়েছিল? মদ্যপান করে স্ফূর্তিতে মেতে উঠতেই কি বন্ধু-বান্ধবীরা মাঝিকে সরে যেতে বলেছিল? সবকিছুই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পাঁচ বন্ধু স্থির করে তারা 'নৌকা বিহার'-এ যাবে। সেইমতো রৌনক তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুরাগ ও স্মিতেন্দু এবং দুই বান্ধবী শ্রদ্ধা ও দেবারতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিলিত হয়। ধর্মতলায় এসে প্রিন্সেপঘাটে সফিজউদ্দিনের নৌকা ভাড়া করে। নৌকা করে তারা পানিঘাটে পৌঁছয়। নোকাতেই তারা মদ পান করে।যাদবপুরের ওই পড়ুয়ারাই মাঝগঙ্গায় নৌকা বেঁধে দিয়ে অনুরোধ করে মাঝিকে।
মেডিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে রৌনকের চার বন্ধুই মদ্যপান করেছিল। তাদের দাবি, মদ খেয়েছিল রৌনকও। তাদের কেউই সাঁতার জানত না। ফলে রৌনক তলিয়ে যাওয়ার সময় তারা কেউই তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। মাঝিকে ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। বৃদ্ধ মাঝি ঘটনার আকস্মিকতা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তারপর ভাটার প্রবল টানও নিমেষে বহুদূর টেনে নিয়ে চলে যায় রৌনককে। বন্ধুদের ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।