বাড়িতে এই আগন্তুক! পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ শোভন-পত্নী রত্নার
সাত সকালে বাড়িতে হাজির মহিলা বাউন্সার। চটে লাল মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সাত সকালে বাড়িতে হাজির মহিলা বাউন্সার। চটে লাল মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ছবিতে থাকা কালো পোশাকে মহিলা একজন বাউন্সার। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাঠিয়েছেন বলে দাবি ওই মহিলার। মেয়রের পর্ণশ্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে এই বাউন্সার নিয়োগ। বাড়িতে যাঁরা আসছেন তাঁদের সবাই যাতে সেখানে রাখা খাতায় নাম নথিভুক্ত করেন, সেই জন্য এই বাউন্সার পাঠিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
তবে মেয়র পত্নী জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়রের কেউ আসলে তিনি সেখানে রাখা খাতায় নাম নথিভুক্ত করলেও, তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ আসলে নাম নথিভুক্ত করা হবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ওই মহিলা বাউন্সারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মেয়র পত্নী রত্না। জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই বাউন্সার সরাসরি মেয়রকে ফোন করে ফোনটি রত্না চ্যাটার্জিকে ধরিয়ে দেন। যদিও রত্নার গলা পেয়ে অপর প্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেন মেয়র।
এরপর সরাসরি পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালত পর্যন্ত যাবেন।
দিন কয়েক আগে পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দত্ত রোডের বাড়ির নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছিলেন মেয়র। বাড়িতে ঢোকার সময় যে কাউকে খাতায় নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন মেয়র। এবার পুরুষ নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে এক্কেবারে মহিলা বাউন্সার।
মেয়রের আরও অভিযোগ, পৈতৃক বাড়িতে তার বহু সম্পত্তি রয়েছে। এমন কী মামলার নথিও রয়েছে। সেসব নথি ও সম্পত্তি হাতানোর আশঙ্কাও করেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সব কিছুর পিছনেই তাঁর স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ মেয়রের।